ফাইল চিত্র।
দারুণ খুশি রাজ চক্রবর্তী। একটি লক্ষ্য নিয়ে ‘হাবজি গাবজি’ ছবিটি বানিয়েছিলেন। সেটি পূরণ হয়েছে। ছবি দেখে দারুণ ভয় পেয়েছে ছোটরা! আড়চোখে পরিচালকের দিকে চাইছে। তাঁর সামনেই সবাই নিজেদের মোবাইল থেকে গেম অ্যাপ মুছছে। পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে এমনই ঘটনার সাক্ষী পরিচালক এবং টিম ‘হাবজি গাবজি’। আনন্দবাজার অনলাইনকে রাজ জানিয়েছেন, একা তিনিই নন, খুশি অভিভাবকেরাও। তাঁদের দাবি, এত দিন তাঁরা যা করতে পারেননি সেটাই করে দেখিয়েছেন রাজ!
রাজ আরও বলেছেন, ‘‘এই ঘটনা একটি প্রেক্ষাগৃহে নয়, একাধিক প্রেক্ষাগৃহে ঘটেছে। কিছু বাচ্চা ছবি দেখার পরে মুছেছে। কিছু বাচ্চা ‘হাবজি গাবজি’ দেখতে দেখতেই! বিশ্বাস করুন, খুব তৃপ্ত আমি। মনে হচ্ছে, সমাজের জন্য কিছু একটা করতে পারলাম।’’ শুধুই কি এই! ছবি দেখে খুদেরা নাকি খুল্লামখুল্লা হুমকিও দিয়েছে পরিচালককে। বলেছে, ‘‘কী বাজে ছবি বানিয়েছ! দেখে ভয় করছে। আর গেম খেলতে পারছি না। মা-বাবারাও বলছেন, দেখেছিস তো! গেম খেললে কী হয়।’’
পরিচালকের দাবি, এটাই চেয়েছিলেন তিনি। তাঁর খুব মনখারাপ করত যখন ভাগ্নি মোবাইলে মুখ গুঁজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকত। কোথাও গেলে যখন দেখতেন সবাই হেঁটমুণ্ড! মন-মুখ মোবাইলে গোঁজা! কেউ কারও সঙ্গে কথা বলছে না। চোখ তুলে তাকাচ্ছেও না। পরিবারে মা-বাবা, সন্তান মিলে সদস্যসংখ্যা তিন। তিনজনেই মোবাইলে ব্যস্ত। ছবি শেষে তাই প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত সমস্ত অভিভাবকদের কাছে জোড়হাতে অনুরোধ পরিচালকের, ‘‘সন্তানকে সময় দিন। ওর সঙ্গে কথা বলুন, খেলুন। মোবাইল নয়, ওর হাতে তুলে দিন ফুটবল। যাতে মোবাইল গেমের নেশায় ডুবতে না পারে। আমরাও একটি নির্দিষ্ট সময় ইউভানকে দিই। মাঠে খেলতে নিয়ে যাই।’’
রাজের ভয়, এখনও সময় আছে। সবাই সচেতন হলে সমস্যা রোখা যাবে। নইলে মোবাইলের নেশায় তলিয়ে যাবে গোটা একটা প্রজন্ম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy