স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রবিবার বেলা ৩টে নাগাদ শুরু হয় মিছিল। কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলে পা মেলাতে দেখা যায় সমাজের সমস্ত শ্রেণির নাগরিককে। ছিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ও। এই ঘটনার প্রতিবাদে প্রথম থেকেই সরব ছিলেন তিনি। তবে, এত দিন শহরে ছিলেন না। তাই প্রতিবাদ সীমিত ছিল সমাজমাধ্যমে। রবিবারের পথে নামলেন তিনি। জানালেন, এই প্রতিবাদ থামবে না।
অভিনেত্রী বলেন, “সকলে নিজের নিজের মতো করে প্রতিবাদ করছেন। কিন্তু ঘটনার তদন্ত কতটা এগিয়েছে, তা এখনও আমরা জানি না। কেউ গ্রেফতার হয়নি। সিবিআইয়ের তদন্ত কোন পথে চলেছে, খবর আমাদের কাছে নেই। সরকারের তো একটা দায়বদ্ধতা আছে। নির্যাতিতার বাবা-মাকে জবাব দেওয়ারও তো একটা দায়বদ্ধতা আছে।”
৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে উদ্ধার হয় চিকিৎসক-পড়ুয়া তরুণীর দেহ। তার পরে কেটে গিয়েছে প্রায় ২৩ দিন। কিন্তু ঘটনার তদন্ত কোন দিকে এগোচ্ছে, তা নিয়ে সন্দিহান স্বস্তিকা। অভিনেত্রী বলেছেন, “প্রায় এক মাস হতে চলল। এমন একটা নির্মম ঘটনার কোনও সুরাহা হল না। জনসাধারণকে বোকা ভেবে লাভ নেই। একটা মানুষকে দোষী হিসেবে সামনে আনা হচ্ছে, কিন্তু আমরা কেউ বিশ্বাস করি না, একা এত বড় কাণ্ড ঘটিয়েছে সে। সেটা অসম্ভব।”
আরজি কর হাসপাতালের ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়েও অভিনেত্রী বলেন, “অনেক রকম ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, মৃতদেহের পাশে রীতিমতো গোল বৈঠক করে পরিকল্পনা চলেছে। অকুস্থলে কোনও নিরাপত্তা নেই। মিথ্যে কথা বলে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “জনসাধারণ তো বুদ্ধি বিবেচনা কাজে লাগিয়ে ভোট দেন। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও মানুষকে বোকা ভাবার কোনও জায়গাই নেই। জনসাধারণের জন্যই কিন্তু সরকার। মানুষের জন্যই পাওয়া ক্ষমতা সরকারের কাছে। কিন্তু তাও কেন সুরাহা পাচ্ছি না?” স্বস্তিকার স্পষ্ট দাবি, সিবিআইয়ের হাতে তদন্ত যাওয়ার আগেই তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছে। দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর চালিয়েছে।
রবিবারের মিছিলের পরে কয়েক জন অভিজ্ঞ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই বিষয়ে বিশদে জানার চেষ্টা করছেন বলে জানান স্বস্তিকা। আরও স্পষ্ট দাবি নিয়ে সরব হওয়ার জন্যই এই পদক্ষেপ তাঁর। অভিনেত্রীর কথায়, “সাধারণ নাগরিক হিসেবে আর কী কী করতে পারি যাতে সরকারের ঘুম ভাঙে, সেটাই দেখছি। নির্যাতিতার বাবা-মাও তাই চান।”
নিজের মেয়েকে নিয়েও আতঙ্কে থাকছেন স্বস্তিকা। কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন অভিনেত্রীর মেয়ে অন্বেষা। কিন্তু মেয়ের জন্য সর্ব ক্ষণ চিন্তায় থাকছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy