মধুবনী গোস্বামী।
তাঁদের সংসারে এখন শুধু ‘লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন’ নয়। এসে গিয়েছে ফুচকা-ঝালমুড়ি-ভেলপুরিও। প্রেমিক-প্রেমিকা, স্বামী-স্ত্রীর পর নতুন ভূমিকায় দর্শকের ‘ওম-তোড়া’ অর্থাৎ মধুবনী গোস্বামী-রাজা গোস্বামী। স্টার জলসার ‘ভালবাসা ডট কম’এর টিনেজার জুটি এখন হবু মা-বাবা। পরিবারে নতুন সদস্য আসার খবর ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নিয়েছিলেন সকলের সঙ্গে। এরপর থেকে কোনও রাখঢাক না করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় প্রতি মুহূর্তের আপডেট দিয়ে চলেছেন তাঁরা।
লকডাউনে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন দু’জনে। আপাতত দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার চলছে মধুবনীর। করোনা অতিমারিতে তাই অতি সাবধানী হবু মা। নিজেদের ফ্ল্যাট ছেড়ে এখন শ্বশুরবাড়িতে রয়েছেন তিনি। বাড়ির ঘেরাটোপেই এখন আগামীর স্বপ্ন বুনছেন দর্শকের ‘তোড়া’। বাইরে বেরনো বলতে শুধু ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট। সেটুকু যেতেও বড্ড ভয় তাঁর। গাড়ির কাচ তুলেও পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে পারেন না মধুবনী। দুরে দাঁড়িয়ে কেউ একটা হাঁচি দিলেও, বুকটা ধড়াস করে ওঠে।
এ রকম পরিস্থিতে কিন্তু চুটিয়ে শ্যুটিং করছেন রাজা। কাজের স্বার্থে বেশির ভাগ সময় অনেক লোকজনের মাঝে থাকতে হয় তাঁকে। কোভিড প্রোটকল মেনে সব কিছু করলেও বাড়ি এসে দূরত্ব বজায় রাখছেন স্ত্রীর সঙ্গে। মধুবনী জানালেন, “প্রেগনেন্সির পর থেকেই আমরা আলাদা ঘরে শুই। রাজাই প্রথম এই আইডিয়াটা দেয়। আমাদের ঘর দুটো একদম পাশাপাশি। আমার কোনো অসুবিধা হলে ওকে ডাকলেই, ও চলে আসতে পারে।”
নতুন অতিথির অপেক্ষায় রাজা-মধুবনী।
শুরু থেকেই স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে কাজ করেছেন। ছোটপর্দার সঙ্গে সমান ভাবে যাত্রার মঞ্চেও দেখা গিয়েছেন তাঁদের। আপাতত মধুবনীর কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ। তিনি বললেন, “আমি কখনও রাজাকে কোনও কিছুর জন্য জোর করি না। ওর মা-বাবা আমার যথেষ্ট খেয়াল রাখেন। আমি যেমন আমাদের সন্তানের খেয়াল রাখছি, তেমনি ওকেও অর্থনৈতিক দিকটা দেখতে হচ্ছে”। শারীরিক ভাবে পাশে থাকার চেয়েও মানসিক ভাবে পাশে থাকাকে বেশি গুরুত্ব দেন মধুবনী। তিনি মনে করেন, রাজা সব সময়ই তাঁর পাশে রয়েছেন।
রাজার ব্যস্ততা তো এই মুহূর্তে এক্কেবারে তুঙ্গে কিন্তু মধুবনীকে ফের কবে দেখা যাবে পর্দায়?
জানালেন, সন্তান পৃথিবীতে আসার পর বেশ কিছুটা সময় কাজ করবেন না তিনি। কারণ তার দেখাশোনাকেই নিজের প্রাথমিক কর্তব্য বলে মনে করেন অভিনেত্রী। তিনি বললেন, “আমি মনে করি মায়ের থেকে বেশি কেউ তার সন্তানের খেয়াল রাখতে পারে না। তাই যতদিন না ও বড় হচ্ছে, আমি ওর সঙ্গেই থাকব। যে সন্তানের মা-বাবা তার কাছে থাকে না, বড় হয়ে সে কিছুটা ছন্নছাড়া হয়।” তাঁর আরও সংযোজন, “আমি আমার সন্তানকে একজন ভাল মানুষ তৈরি করতে চাই। মানুষ যাতে বলে রাজা-মধুবনীর ছেলেমেয়ে একজন ভাল মানুষ তৈরি হয়েছে।”
সন্তান পৃথিবীতে আসার পর বেশ কিছুটা সময় কাজ করবেন না তিনি।
এই একই কথা দিন কয়েক আগে এক ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন অনুষ্কা শর্মা। বিরাট-পত্নী জানিয়েছিলেন, নীতিশিক্ষা দিয়ে নিজেদের সন্তানকে একজন ভাল মানুষ তৈরি করতে চান তাঁরা।
তবে অনুষ্কার মতো মধুবনী কিন্তু মোটেই সন্তানকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে রাখার কথা ভাবেননি। অনুরাগীদের সঙ্গে তাঁদের জীবনের সব কিছু ভাগ করে নিতে আগ্রহী তিনি। তাঁর কথায়, “মানুষের সঙ্গে যখন সব খুশির খবর ভাগ করে নিয়েছি, এটাই বা করব না কেন? আমাদের সন্তান সকলের সামনেই বড় হবে। কোনও লুকোচুরি করব না।”
আরও পড়ুন: কেরিয়ারের প্রথমে তোতলামির সমস্যায় ভুগতে থাকা শরদ কেলকর আজ জনপ্রিয় ডাবিং আর্টিস্ট, অভিনেতা
অপেক্ষার আর মাত্র ৩ মাস। তারপরেই জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করবেন তাঁরা। মধুবনী জানালেন, রাজার ছোট্ট একটা ‘প্রিন্সেস’ চাই। মেয়েকে নিয়ে খেলার শখ তাঁর বহুদিনের। কিন্তু হবু মায়ের এ নিয়ে আলাদা করে কোনও ভাবনা-চিন্তা নেই।
ফুচকা-ভেলপুরি-চিপসের সঙ্গে ডায়েটের তালিকায় জুড়েছেন ফলমূল এবং নানা স্বাস্থ্যকর খাদ্য। ঘুরতে যাওয়ার পরিবর্তে বাড়ির ছাদ আর খোলা জানলাতেই সুখ খুঁজছেন হবু মা। আর তার সঙ্গেই চলছে নাম বাছাই পর্ব।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় গ্রেফতার বিবেক ওবেরয়ের শ্যালক
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy