Actress and Anchor Simi Garewal is still amazing and stylish at 72 dgtl
simi garewal
জামনগরের মহারাজা থেকে মনসুর পটৌডী, ‘দুলি’-র সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছেন বহু নামী পুরুষই
জামনগরের মহারাজার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সপ্তদশী সিমির। মাত্র তিন বছরেই ভেঙে যায় তাঁদের সম্পর্ক। সিমি পরে জানিয়েছিলেন, প্রেম ভাঙার কারণ ছিল ওভার পজেসিভনেস। শোনা যায়, পরবর্তী কালে মনসুর আলি খান পটৌডীর সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক ছিল সিমির। তখনও মনসুর পটৌডী ভারতীয় দলের অধিনায়ক হননি। সে সময় তাঁর বিশেষ বান্ধবী ছিলেন সিমি।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৯ ১০:২৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৩
কখনও তিনি অরণ্যের সৌন্দর্য মেখে থাকা দুলি। কখনও বা এক কিশোরের ইনফ্যাচুয়েশন, ‘মেরি’। নানা রূপে, নানা ধরনের চরিত্রে এ ভাবেই নিজেকে ভেঙেছেন এবং আবার গড়েছেন সিমি গারেওয়াল। বলিউডের ‘অন্যধারার সুন্দরী’-দের মধ্যে তিনি অন্যতম। ছবিতে অভিনয় থেকে টেলিভিশনে সঞ্চালনা। ইন্ডাস্ট্রিতে সিমি থেকে গিয়েছেন স্বকীয়তা নিয়েই। ( ছবি:সোশ্যাল মিডিয়া)
০২১৩
১৯৪৭ সালের ১৭ অক্টোবর সিমির জন্ম পঞ্জাবের এক জাঠ শিখ পরিবারে। তাঁর বাবা ব্রিগেডিয়ার জে এস গারেওয়াল ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। মায়ের নাম দর্শী। মায়ের দিক দিয়ে সিমি বলিউডের বিখ্যাত চোপড়া পরিবারের আত্মীয়। তাঁর মা দর্শী এবং যশ চোপড়ার স্ত্রী পামেলার বাবা মহিন্দর সিংহ, সম্পর্কে ভাই-বোন। বোন অমৃতার সঙ্গে সিমির শৈশবের অনেকটাই কেটেছে ইংল্যান্ডে। পড়তেন নিউল্যান্ড হাউস স্কুলে। (ছবি: সিমি গারেওয়াল ডট কম)
০৩১৩
কৈশোরে সিমি চলে আসেন ভারতে। তাঁর প্রথম ছবি ছিল ‘রাজ় কি বাত’। ইংরেজি বলার দক্ষতা তাঁকে সুযোগ দেয় ‘টারজান গোজ টু ইন্ডিয়া’ ছবিতে। পঞ্চদশী সিমি সেখানে ফিরোজ খানের নায়িকা। আত্মপ্রকাশেই বাজিমাত। (ছবি: সিমি গারেওয়াল ডট কম)
০৪১৩
১৯৭০ সাল সিমির কেরিয়ারে গুরুত্বপূর্ণ। একই বছরে মুক্তি পায় রাজ কপূরের ‘মেরা নাম জোকার’এবং সত্যজিৎ রায়ের ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’। দু’টি ছবিতে সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে ধরা দেন সিমি। ‘মেরা নাম জোকার’-এ তিনি কিশোর রাজুর ভূমিকায় অভিনয় করা ঋষি কপূরের স্বপ্নসুন্দরী। আবার ‘অরণ্যের দিনরাত্রিতে’ তিনি আদিবাসী রমণী দুলি। যাঁর বন্য মাদকতায় মুগ্ধ শহুরে যুবক হরি। হরির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন প্রয়াত শমিত ভঞ্জ। (ছবি: সিমি গারেওয়াল ডট কম)
০৫১৩
এরপর কয়েক বছর বলিউডের মূলস্রোতের বাণিজ্যিক ছবিতে অভিনয়। তারপর আবার বাংলা ছবি। এ বার সিমি মৃণাল সেনের ছবির নায়িকা। ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায় ‘পদাতিক’। মৃণাল সেনের কলকাতা ট্রিলজির তৃতীয় এই ছবিতে সিমি অভিনয় করেছিলেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে। (ছবি: সিমি গারেওয়াল ডট কম)
০৬১৩
হারমান কার্ল হেসের লেখা উপন্যাস নিয়ে তৈরি হয় ছবি, ‘সিদ্ধার্থ’। মার্কিন পরিচালক কনরাড হুকসের এই ছবিতে শশী কপূর ছিলেন তরুণ সিদ্ধার্থের ভূমিকায়। ছবিতে সিমির নগ্ন দৃশ্য নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল ভারতীয় বিনোদন মহলে। (ছবি: সিমি গারেওয়াল ডট কম)
০৭১৩
সমান্তরাল ধারার ছবির পাশাপাশি তিনি অভিনয় করেছেন বেশ কিছু জনপ্রিয় বাণিজ্যিক ছবিতেও। ‘চলতে চলতে’, ‘কভি কভি’, ‘কর্জ’, ‘নসিব’ সে রকমই কিছু উল্লেখযোগ্য ছবি। আড়াই দশকের কেরিয়ারে অভিনয় করেছেন পঞ্চাশটিরও বেশি ছবিতে। (ছবি: সিমি গারেওয়াল ডট কম)
০৮১৩
ব্যক্তিত্বময়ী সিমির টেলিভিশন-কেরিয়ারও সমান উজ্জ্বল। অভিনয়ের তুলনায় ছোটপর্দায় তিনি সপ্রতিভ সঞ্চালক। ‘ইটস এ উম্যানস ওয়র্ল্ড’, ‘লিভিং লেজেন্ড রাজ কপূর’, ‘ইন্ডিয়াস রাজীব’, ‘ইন্ডিয়াজ মোস্ট ডিজায়ারেবল’ এবং অবশ্যই ‘রঁদেভু উইথ সিমি গারেওয়াল’— এই শোগুলির জনপ্রিয়তার মূল কারণই ছিল সিমির সঞ্চালনা। ( ছবি:সোশ্যাল মিডিয়া)
০৯১৩
জিনাত আমন, পরভিন বাবির মতো সিমিও ছিলেন বলিউডের সেক্স সিম্বল। তবে তিনি নানা ধরনের কাজ করেছেন। নিজেকে শুধুমাত্র ‘সেক্স সিম্বল’-এর ভাবমূর্তিতে আটকে রাখেননি। কাজের মতো তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও ছিল বর্ণময়। (ছবি: সিমি গারেওয়াল ডট কম)
১০১৩
জামনগরের মহারাজার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সপ্তদশী সিমির। মাত্র তিন বছরেই ভেঙে যায় তাঁদের সম্পর্ক। সিমি পরে জানিয়েছিলেন, প্রেম ভাঙার কারণ ছিল ওভার পজেসিভনেস। শোনা যায়, পরবর্তী কালে মনসুর আলি খান পটৌডীর সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক ছিল সিমির। তখনও মনসুর পটৌডী ভারতীয় দলের অধিনায়ক হননি। সে সময় তাঁর বিশেষ বান্ধবী ছিলেন সিমি। ( ছবি:সোশ্যাল মিডিয়া)
১১১৩
এমনকি, ইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জন, রাজ কপূরও মুগ্ধ ছিলেন সিমির রূপে। এরপর একে একে মনমোহন দেশাই, পঞ্জাবের প্রাক্তন রাজ্যপাল সলমন তাসের থেকে শুরু করে ঋষি কপূর। বহু বিখ্যাত পুরুষের সঙ্গেই জড়িয়েছে সিমির নাম। ( ছবি:সোশ্যাল মিডিয়া)
১২১৩
দিল্লির অভিজাত চুন্নামল বংশের ব্যবসায়ী রবি মোহনকে বিয়ে করেছিলেন সিমি। কিন্তু এক দশক পরে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সিমি পরে বলেছিলেন, তাঁদের ব্যক্তিত্ব ছিল বিপরীত মেরুর। পরিচয়ের পরেই অল্প সময়ের মধ্যে খুব দ্রুত বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁরা ভুল করেছিলেন। তবে বিচ্ছেদের পরে এখনও তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক আছে। ( ছবি:সোশ্যাল মিডিয়া)
১৩১৩
বাহাত্তরটি বসন্ত পেরিয়েও সিমি একই রকম স্টাইলিশ। সাজের ঘরানাকে নিয়ে গিয়েছেন অন্য মাত্রায়। জানিয়েছেন, ছোট থেকেই তাঁর প্রিয় রং সাদা। এর বাইরে তাঁকে অন্য রঙের পোশাকে খুব বেশি দেখাও যায় না। সাদাকেই তিনি স্টাইল স্টেটমেন্ট করে তুলেছেন নিজের ব্যক্তিত্বের ছোঁয়ায়। ( ছবি:সোশ্যাল মিডিয়া)