শ্রীময়ীর সিঁথিতে সিঁদুর দিচ্ছেন কাঞ্চন। —নিজস্ব চিত্র।
শনিবার সন্ধ্যায় জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীময়ী চট্টরাজের। সাত পাকে বাঁধা পড়লেন দু’জনে। দক্ষিণ কলকাতার এক ঠিকানায় বসেছিল বিয়ের আসর। পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের উপস্থিতিতেই চার হাত এক হয়েছে। আগামী ৬ মার্চ পার্ক স্ট্রিটের এক ব্যাঙ্কোয়েটে হবে রিসেপশন। শুভদৃষ্টি, মালাবদল, সাত পাক, সিঁদুরদান— একেবারে বাঙালি রীতি মেনেই বিয়ে হয়েছে। বিয়ের মেনুতেও রয়েছে বাঙালিয়ানার ছোঁয়া। কাঞ্চন এবং শ্রীময়ীর সাজেও স্পর্শ রয়েছে সাবেকিয়ানার ।
লাল বেনারসি, গা ভর্তি সোনার গয়না, শোলার মুকুট আর ফুলের সাজে শ্রীময়ী সেজেছেন মনের মতো করে। বরের সাজও কম জমকালো নয়। ধুতি আর ভারী কাজ করা পাঞ্জাবিতে কাঞ্চনও পাল্লা দিয়েছেন। বিয়ের বেনারসি নিজেই নকশা করেছেন শ্রীময়ী। শুক্রবার আইবুড়োভাতের দিন আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে সেই চমক খোলসা করেছিলেন শ্রীময়ী। তবে শ্রীময়ী এ কথাও জানিয়েছিলেন, খানিকটা ভয়েও আছেন তিনি। তিনি কখনও এ ধরনের কাজ করেননি। ফলে তিনি এই কাজে কতটা সফল হবেন, তা নিয়ে একটা সংশয় ছিলই। তবে শ্রীময়ীর সিঁদুরমাখা মুখ দেখে অবশ্য মনে হচ্ছে, সীমন্তিনী হয়ে সব চিন্তা, সংশয় কেটে গিয়েছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেম দিবসে সইসাবুদ করে আইনি বিয়ে সেরেছিলেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। কিন্তু দুজনের ঘর বাঁধার রাস্তা একেবারেই ফুল বিছানো ছিল না। সহ-অভিনেতা থেকে স্বামী-স্ত্রী— এই লম্বা সফরে বহু বাধা এসেছে। কিন্তু হাত ছাড়েননি একে-অপরের। বরং আরও বেশি কাছাকাছি এসেছেন দু’জনে। কাঞ্চনের প্রাক্তন স্ত্রী পিঙ্কির দাবি ছিল, বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই চুটিয়ে প্রেম করতে শুরু করেন তাঁরা। সেই সময় কাঞ্চনের সর্বক্ষণের সঙ্গীও ছিলেন শ্রীময়ী। ভোট প্রচার থেকে ত্রাণ বিতরণ— সর্বত্র কাঞ্চনের পাশে দেখা যেত শ্রীময়ীকেই। শোনা গিয়েছিল, কাঞ্চন এবং শ্রীময়ী নাকি একত্রবাসও করছেন। ধীরে ধীরে কাঞ্চনের বাড়ির পুজো থেকে তাঁর ছবির প্রিমিয়ার, সব জায়গায় শ্রীময়ীর অবাধ যাতায়াত শুরু হয়। তবে তখনও তাঁরা সম্পর্কে আছেন কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রেখেছিলেন। তবে পিঙ্কির সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পরেই সমস্ত গোপনীয়তার চাদর সরিয়ে দেন তাঁরা। পিঙ্কির সঙ্গে বিচ্ছেদের ২৩ দিনের মাথায় শ্রীময়ীর সঙ্গে আইনি বিয়ে সারেন কাঞ্চন। অবশেষে শনিবাসরীয় সন্ধ্যায় একসঙ্গে পথচলা শুরু করলেন দু’জনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy