অভ্রদীপ ঘটক৷
মাত্র সাত মিনিটের একটা ছবি৷ সেই ছবিতে ভর করেই অস্কারের মঞ্চে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন জলপাইগুড়ির অভ্রদীপ।
জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দা অভ্রদীপ ঘটকের সাত মিনিটের শর্ট ফিল্ম ‘আনন্দধারা রিলোডেড’ ইতিমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে মেক্সিকো ও চিনের আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে৷ অভ্রদীপের দাবি, চিনের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ছবিটি প্রথম তিনে জায়গা পেলেই তা চলে যাবে অস্কারের মঞ্চে৷
জলপাইগুড়ি শহরের স্টেশন রোডে বাড়ি অভ্রদীপের৷ বিজ্ঞানে স্নাতক হওয়ার পর প্রথমে বিজ্ঞাপন সংস্থায় কাজ শুরু করেন তিনি৷ তারপর সম্পাদনার কাজ করেছেন বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে৷ তখন থেকেই ছবি বানানোর ইচ্ছেটা মনে আসতে শুরু করে তাঁর৷ ধীরে ধীরে তা নেশায় পরিণত হয়৷ ‘আনন্দধারা রিলোডেড’ ছবিটির আগে আরও পাঁচটি শর্ট ফিল্ম তৈরি করেছেন অভ্রদীপ৷ এর মধ্যে তিনটি ছবি ১৩টি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে গিয়েছে৷ যার মধ্যে সবচেয়ে নাম করেছে ‘টান’ ছবিটি৷ তিনটি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি৷ কিন্তু তারপরেও ‘আনন্দধারা রিলোডেড’ যেন তাঁর কাছে আলাদা৷
আরও পড়ুন: হার্ভেকে গ্রেফতার করতে চায় পুলিশ, নজরে স্পেসিও
আলাদা হওয়ারই কথা৷ ছবি মাত্র সাত মিনিটের হলেও, এটা তৈরি করতে এক বছরেরও বেশি সময় লেগে গিয়েছে অভ্রদীপের৷ ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানে এই ছবির শ্যুটিং হয়েছে৷ এ ক্ষেত্রে তাঁর কিছু বন্ধুই তাঁকে খুবই সাহায্য করেছেন বলেও জানালেন অভ্রদীপ৷ তাঁর কথায়, ‘‘তাঁর এই ছবিতে দুটি চরিত্র৷ একটি পৃথিবী, অপরটি নেটওয়ার্ক৷’’ মূলত মোবাইল নেটওয়ার্কের সঙ্গে পৃথিবীর সম্পর্ক দেখা যাবে এই ছবিটিতে৷ যেখানে দেখা যাবে, পৃথিবীতে যখন মোবাইল নেটওয়ার্ক আসে, তখন পৃথিবী কতটা অস্বস্তিতে পড়েছিল৷ কিন্তু তারপর পৃথিবী যখন বুঝল মোবাইল নেটওয়ার্ক ছাড়া মানুষ থাকতে পারবে না, তখন নেটওয়ার্কের সঙ্গে সমঝোতা করে তাকে গ্রহণ করল পৃথিবী৷
অভ্রদীপ জানান, যেহেতু ছবির একটি চরিত্র পৃথিবী, তাই একশোরও বেশি জায়গায় এর শ্যুটিং করতে হয়েছে৷ তাঁর কথায়, ‘‘একটি মাত্র শটের জন্য আমায় পাহাড় থেকে সমুদ্রে ছুটতে হয়েছে৷ সেজন্যই ছবিটি বানাতে এতটা সময় লেগেছে৷’’ অভ্রদীপ জানান, চীনে ডিসেম্বর মাসে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল হবে৷ সেখানে ৬৭টি ছবির মধ্যে তার এই শর্ট ফিল্মটি জায়গা করে নিয়েছে৷ আর মেক্সিকান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালটা হবে ২২ নভেম্বর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত৷ সেখানে ১২টি ছবির মধ্যে তার এই ছবিটি জায়গা পেয়েছে৷ তাঁর দাবি, ‘‘আনন্দধারা রিলোডেড এই ফেস্টিভ্যালে এশিয়ার মধ্যে একমাত্র ছবি হিসাবে জায়গা পেয়েছে৷
চিনের ফেস্টিভ্যালে প্রথম তিনের মধ্যে জায়গা পেলে আমার ছবিটা যে অস্কারের মঞ্চে যাবে সেটা জানি৷ কিন্তু তারপরও মেক্সিকান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ছবিটি কতটা সাড়া পায় সেদিকে তাকিয়ে৷ কারণ তা দেখতে প্রচুর মানুষ যান৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy