Aarthi Agarwal became a victim of cosmetic surgery dgtl
bollywood
কাজ করেছেন বলিউডেও, কসমেটিক সার্জারি করাতে গিয়ে প্রাণ হারান দক্ষিণী সিনেমার এই জনপ্রিয় নায়িকা
বলিউড থেকে সুযোগও এল তাড়াতাড়ি। ২০০১ সালে নবাগতা আরতি অভিনয় করলেন তাঁর প্রথম ছবি ‘পাগলপন’-এ। বিপরীতে নায়ক ছিলেন নবাগত কর্ণ নাথ
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২০ ০৯:৪২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৪
কৈশোরে সুনীল শেট্টীকে দেখে নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন। পরে ছুঁতেও পেরেছিলেন নিজের স্বপ্ন। হিন্দি ছবিতে আত্মপ্রকাশের পরে অভিনয় করেছিলেন তেলুগু ছবিতেও। কিন্তু মাত্র একত্রিশেই জীবন থেকে বিদায় নিতে হয় অভিনেত্রী আরতি আগরওয়ালকে। কসমেটিক সার্জারির মাসুল দিতে গিয়ে।
০২১৪
আরতির জন্ম ১৯৮৪-র ৫ মার্চ, আমেরিকার নিউ জার্সি শহরে। সেখানেই তাঁর বাবা শশাঙ্ক হোটেলের ব্যবসা করতেন। মা, ভীমা ছিলেন গৃহবধূ। দুই ভাইবোনের সঙ্গে আরতির শৈশব কেটেছিল আমেরিকাতেই।
০৩১৪
বলিউডের সঙ্গে আরতির সরাসরি সাক্ষাৎ মাত্র ১৪ বছর বয়সে। ফিলাডেলফিয়ায় এক অনুষ্ঠানে তিনি সুনীল শেট্টীকে নাচতে দেখেন। ভিড়ের মধ্যে আরতিকে দেখে মঞ্চে ডেকে নেন সুনীল।
০৪১৪
মঞ্চে আরতির পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ হয়ে আরতির বাবাকে সুনীল বলেন, তিনি যেন মেয়েকে উৎসাহ দেন পরবর্তী সময়ে অভিনয়কে পেশা হিসেবে গ্রহণের জন্য।
০৫১৪
বলিউড থেকে সুযোগও এল তাড়াতাড়ি। ২০০১ সালে নবাগতা আরতি অভিনয় করলেন তাঁর প্রথম ছবি ‘পাগলপন’-এ। বিপরীতে নায়ক ছিলেন নবাগত কর্ণ নাথ।
০৬১৪
সে বছরই দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতেও হাতেখড়ি হয় আরতির। তিনি অভিনয় করেন তেলুগু ছবি ‘নুভু নাকু নাচভ’-এ। ‘পাগলপন’-এর পরে আরতি আর হিন্দি ছবিতে ফিরে আসতে পারেননি। অভিনয় করে গিয়েছেন তেলুগু ছবিতেই।
০৭১৪
মাতৃভাষা তেলুগু নয়, এমন যে কয়েক জন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে সুনামের সঙ্গে অভিনয় করেছেন, আরতি তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তিনি অভিনয় করেছেন একটি তামিল ছবিতেও।
০৮১৪
ভেঙ্কটেশ, চিরঞ্জিবী, নাগার্জুন, রবি তেজা, মহেশ বাবু এবং এনটিআর জুনিয়র-সহ দক্ষিণের নামী তারকাদের নায়িকা আরতি পরবর্তী সময়ে চরম অবসাদের শিকার হন।
০৯১৪
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, ২০০৫ সালে তিনি এক বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে তিনি ভর্তি হন হাসপাতালে। সে বার দীর্ঘ চিকিৎসার পরে সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরেন তিনি। যদিও আরতির দাবি ছিল, তিনি দুর্ঘটনায় আহত হন।
১০১৪
শোনা যায়, সহ-অভিনেতা তরুণের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার জেরে তিনি আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। পরের বছর, ২০০৬ সালেও তিনি আরও এক বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে শোনা যায়। কিন্তু প্রতি বারই আত্মহত্যার চেষ্টার দাবি উড়িয়ে দিয়েছিলেন আরতি।
১১১৪
২০০৭ সালে আরতি বিয়ে করেন আমেরিকাবাসী সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার উজ্জ্বল কুমারকে। বিয়ের পরে অভিনয় ছেড়ে আরতি পাড়ি দেন আমেরিকা। কিন্তু দাম্পত্য স্থায়ী হয়নি। দু’বছর পরে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। আরতি পরে জানান, বিয়ের পরে তাঁর অভিনয় করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই সমস্যা শুরু হয়েছিল।
১২১৪
বিচ্ছেদের পরেও আরতি অভিনয়ে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সফল হননি। কেরিয়ার এবং দাম্পত্য, দু’দিকেই বিধ্বস্ত হয়ে ক্রমশ অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। সে সময় নিউজার্সিতে বাবা মায়ের সঙ্গে থাকতেন আরতি। কিন্তু বাবা মায়ের সান্নিধ্যও পারেনি তাঁর মানসিক অবস্থার উন্নতি করতে।
১৩১৪
রোগা হওয়ার লক্ষ্যে তিনি ২০১৫ সালে লাইপোসাকশন করান। তার দেড় মাস পরেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে তাঁকে ভর্তি করা হয় নিউ জার্সির হাসপাতালে। সেখানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন এই সম্ভাবনাময় অভিনেত্রী।
১৪১৪
চিকিৎসকদের ধারণা, লাইপোসাকশনের মতো কসমেটিক সার্জারির পরে সংক্রমণের কারণে মাত্র ৩১ বছর বয়সেই প্রাণ হারান আভিনেত্রী আরতি আগরওয়াল। তাঁর বোন অদিতি আগরওয়ালও পরে অভিনয় করেছেন তেলুগু ছবিতে।