‘রুদ্রবীণার অভিশাপ-২’ ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ। এই গল্পে যে সাঙ্গীতিক আবহ রয়েছে, তা বেশ অভিনব বলে মনে করছেন অনেকেই। সম্প্রতি এই সিরিজের একটি গানে ব্যবহার করা হয়েছে ১১ মাত্রার তাল, যা আগে কখনও কোনও বাংলা ছবি বা সিরিজে হয়নি। এমনটাই মনে করেন সঙ্গীত পরিচালক জয় সরকার ও গায়ক জীমূত।
১১ মাত্রার গান বলতে কী বোঝাতে চাইছেন বা কেন এখানে এই ১১ মাত্রার ব্যবহার করতে হল এই প্রশ্ন নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করে সঙ্গীত পরিচালক জয় সরকারের সঙ্গে।
এমন এক কঠিন তালের ব্যবহার কেন প্রয়োজন হল?
প্রশ্নের উত্তরে জয় বলেন, ‘‘এই ১১ মাত্রার তালকে বলে ‘চার তাল কী সওয়ারি’। গল্পের প্রয়োজনে একটা কঠিন তালের গান প্রয়োজন ছিল। আমাকে এমন একটা তাল ভাবতে হয়েছিল, যা নতুন ও কঠিন। তখনই আমার মাথায় এই তালের ব্যবহার করার কথা আসে।’’
সাধারণত বাংলা গানে দাদরা, কাহারবা, একতাল, ঝাঁপতাল, তেওড়া তালের প্রয়োগই বেশি।
১১ মাত্রা কেন ব্যবহার করা হয় না, এই প্রশ্নের উত্তরে জয় মনে করেন, এই তাল বেশ কঠিন। এই তালের উপর ভিত্তি করে গান বানানোটাও বেশ কঠিন।’’
এই সিরিজে এক নতুন রাগের জন্ম দিয়েছেন জয়। কী সেই রাগ?
গল্পের প্রয়োজনে এখানে ‘সঞ্জীবনী’ রাগের জন্ম দিতে হয়েছে। এই রাগের অস্তিত্ব শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে নেই। এই ছবির গল্প সৌগত বসুর লেখা। রাগের নামও সৌগত দিয়েছেন। রাগটা আমাকে বানাতে হয়েছে। যা অন্য সব রাগের থেকে কঠিন ও জটিল।’’
এই নতুন রাগে গান গেয়েছেন জীমূত। কেমন লাগল এই আবিষ্কারের সাক্ষী হতে?
‘‘নতুন কিছু করতে পারার আনন্দটাই তো আলাদা। ১১ মাত্রা বা ‘চার তাল কী সওয়ারি’ নিয়ে আগে বাংলা ছবিতে কোনও কাজ হয়নি। পুরাতনী বাংলা গানে হয়তো হতে পারে, ছবি বা এই ধরনের সিরিজের গানে হয়নি।"
কেন হয়নি, এই প্রশ্নের উত্তরে জীমূত বলেন, ‘‘সাধরণত যে গান বানানো হয়, তা সাধারণ মানুষের কাছে সহজ। ১১ মাত্রা সবাই গাইতে পারেন না। রাগাশ্রয়ী গান আমরা অনেক শুনেছি, কিন্তু এখানে ১১ মাত্রায় গানের পরিকল্পনা বেশ অভিনব। প্রত্যেক রাগের চরিত্র অনুযায়ী শ্রীজাতদা গানের কথা লিখেছেন। এটাও আমার কাছে এক নতুন অভিজ্ঞতা।’’
ReplyForward
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy