ছবিতে ভাস্কর এবং অর্করঞ্জন
আর ভাস্করকে এ কাজে মদত দিচ্ছেন রাজ্যের কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। গোটা বিষয়টার নেপথ্যে রয়েছেন মন্ত্রীমশাই।
ছবি তৈরি হচ্ছে বিপ্লবী বসন্ত কুমার বিশ্বাসকে নিয়ে। তাঁর ভ্রাতুস্পুত্র উজ্জ্বল বিশ্বাস। বিষয়ভাবনা যেমন তাঁর, তিনি প্রযোজকও বটে। ছবির নাম ‘বহ্নিবালক বসন্ত’।
রাসবিহারী বসুর অনুগামী ছিলেন বসন্ত বিশ্বাস। সশস্ত্র আন্দোলনেই ছিল তাঁদের বিশ্বাস। সেই আদর্শে নির্ভর করে দিল্লিতে বড়লাট লর্ড হার্ডিঞ্জকে মারতে যান বসন্ত। কিন্তু উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়। পালাতে হয় বসন্তকে। শেষমেশ ধরাও পড়েন। তাঁর মৃত্যুর পর রাসবিহারী বসুও দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। আন্দোলন ছেড়ে তিনি জাপান পা়ড়ি দেন।
ছবির নির্দেশনায় শঙ্কর মজুমদার। ভাস্কর করছেন রাসবিহারীর চরিত্র। বসন্তর চরিত্রর জন্য থিয়েটারের অর্করঞ্জন ভট্টাচার্যকে নেওয়া হয়েছে। পরিচালক বসন্তর ছোটবেলা থেকে ফাঁসির ঘটনা পর্যন্ত কাহিনি ফ্রেমবন্দি করবেন। মোটে ২০ বছর বয়সে ফাঁসি হয় বসন্তর।
শঙ্কর জানাচ্ছেন, যে দিন বসন্তর ফাঁসি হয়, সে দিনই রাসবিহারী বসু জাহাজে করে জাপান রওনা হন। বুঝতে পেরেছিলেন সশস্ত্র আন্দোলন চালানো সম্ভব নয়।
আরও খবর
বক্স অফিসের বস হবে তো
বসন্তর জন্ম কৃষ্ণনগরের কাছে পো়ড়াগাছা গ্রামে। সেখানে গিয়েও শ্যুট করা হয়েছে। রাসবিহারী বসুও ছবির বড় অংশ জুড়ে রয়েছেন। তাঁর জাপানে থাকাকালীন অংশের শ্যুটিং হয়ে গিয়েছে বলে জানালেন পরিচালক। সেখানেও অনেক নেপথ্য কাহিনি রয়েছে। কী ভাবে তিনি জাপানের একটি বেকারির দোকানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
এবং তাঁর রান্না বিখ্যাত হয়ে যায়। ‘‘এ বারেও গিয়ে দেখলাম ‘বোস কারি’ কতটা জনপ্রিয় জাপানে,’’ বললেন শঙ্কর।
ছবির শুরুতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কণ্ঠস্বর শোনা যাবে। তিনি ‘বহ্নিবালক বসন্ত’-য় সূত্রধরের কাজ করেছেন। ছবির কাহিনির সূত্রধর অবশ্যই উজ্জ্বল বিশ্বাস। ‘‘আমরা ওঁর দেওয়া তথ্য নির্ভর করেই এগিয়েছি। তবে সিনেমার জন্য অনেক কিছু তো অন্য রকম ভাবে করতে হয়,’’ বললেন পরিচালক।
শঙ্করের এটা দ্বিতীয় ছবি। তবে প্রায় ১০-১৫ বছর ধরে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের কয়েক শো কর্পোরেট ডকুমেন্টারি তৈরি করেছেন তিনি। যুক্ত ছিলেন একাধিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy