সংগৃহীত চিত্র।
পুজোর আগেই উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগপত্র হাতে পেল ১৮৬ জন। প্রথম দু’দফায় ডাকা হয়েছিল ২৫৪ জনকে। ৩ এবং ৪ অক্টোবর মিলিয়ে নিয়োগপত্র নেননি মোট ৬৮ জন।
নিয়োগের আশায় ২০১৬-র উচ্চ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের কেটে গিয়েছে ৮ বছর। দু’বার মেধাতালিকা বেরিয়ে বাতিল হয়েছে দুর্নীতির কারণে। দু’বারে ইন্টারভিউ দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু নিয়োগ হয়নি কারও। অবশেষে দ্বিতীয়াতে হাতে নিয়োগপত্র পেলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।
শুক্রবার ১০২ জন চাকরিপ্রার্থীকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। তার মধ্যে নিয়োগপত্র নিয়েছেন ৮৪ জন। বৃহস্পতিবার প্রথম দফার কাউন্সেলিংয়ে ১৪৪ জন চাকরিপ্রার্থীর সুপারিশপত্র পাওয়ার কথা ছিল। ১৪৪ জনের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ৪১ জন। ১০২ জন নিয়োগপত্র গ্রহণ করেছেন।
দু’দিন মিলিয়ে এত সংখ্যক প্রার্থী অনুপস্থিত কেন? উত্তরে এসএসসির এক কর্তা বলেন, “অনেকে অনুপস্থিত ছিলেন। আর বেশ কয়েক জন অন্য কোথাও চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। তাই তাঁরা আসেননি।”
গত ২৮ অগস্ট হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে ২৫ সেপ্টেম্বর ফের মেধা তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ১৪,০৫২ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবে জাতিগত ও শিক্ষাগত তথ্যে গরমিলের কারণে ৯৬ জন প্রার্থীর নাম বাদ দেয় এসএসসি। প্রকাশিত মেধাতালিকার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার থেকে সুপারিশপত্র পেতে শুরু করেছেন উচ্চ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা। হাতে পাওয়া সুপারিশপত্র নিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা নির্দিষ্ট স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের নিয়োগপত্র দেবেন।
পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, “যে গতিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে, পুজোর পরে যেন তার গতি বৃদ্ধি করা হয়। আদালতের নির্দেশ মেনে দ্রুত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হোক, সেটাই আমরা চাই।”
পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে ২৪, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর। আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, পাঁচ দিনে সব মিলিয়ে হাজারখানেক চাকরিপ্রার্থীর কাউন্সেলিং হবে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, সমস্ত প্রার্থীর কাউন্সেলিং করতে। এসএসসি যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে তালিকাভুক্ত রয়েছেন ৮,৯৪৫ জন প্রার্থী। তা হলে সমস্ত প্রার্থীর কাউন্সেলিং কবে শেষ হবে, তা এই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে উল্লেখ নেই
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy