নন্দীর কাছে বর চাইছেন অগ্নিমিত্রা। —নিজস্ব চিত্র।
শিব শিব বলে প্রচারে নেমে পড়েছেন ইতিমধ্যেই। এ বার নন্দীর কাছেও ‘বর’ চেয়ে রাখলেন অগ্নিমিত্রা পাল। আসানসোল দক্ষিণে তাঁকে প্রার্থী বিজেপি। সেখানে তাঁর প্রতিপক্ষ তৃণমূলের সায়নী ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারে নেমেই শিবের বাহনের শরণাগত হতে দেখা গেল তাঁকে।
বিজেপি-র মহিলা মোর্চার সভাপতি অগ্নিমিত্রা, গত দু’বছর ধরে পদ্মশিবিরে। প্রার্থিতালিকায় নাম ওঠার পরই প্রচারে নেমে পড়েছেন। তার আগেও শিবের আশীর্বাদ নিয়ে এসেছেন তিনি। তার পর থেকে একাধিক জায়গায় শিবমন্দিরে পুজো দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
শনিবারও তার অন্যথা হল না। বার্নপুরে প্রচারে গিয়ে সমর্থকদের নিয়ে স্থানীয় একটি মন্দিরে ঢুকে পড়েন পদ্ম-শাড়ি পরিহিতা অগ্নিমিত্রা। মন্ত্র পড় শিবের মাথায় জল ঢেলে প্রসাদ বিতরণও করেন তিনি। তার পরই মন্দিরে বসানো শিবের বাহন ‘নন্দী’র পাথরের মূর্তির কানে মুখ রেখে নিজের মনস্কামনা জানাতে দেখা যায় তাঁকে।
সায়নীর বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ের বরই চাইলেন নন্দীর কাছে? প্রশ্ন যদিও এড়িয়ে যান অগ্নিমিত্রা। তবে বাংলায় পদ্ম ফোটাতে মরিয়া গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করতে যে ভাবে, ‘বহিরাগত’ শব্দবন্ধ বেছে নিয়েছে তৃণমূল, সে ভাবেই সায়নীকে আক্রমণ করেন অগ্নিমিত্রা। আসানসোলে জন্মগ্রহণকারী অগ্নিমিত্রা সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষকে ‘বহিরাগত’ বলেই কটাক্ষ করলেন।
সায়নীকে নিয়ে প্রশ্ন করলে তাঁকে ‘বহিরাগত’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘‘সায়নী বাচ্চা মেয়ে। বোধহয় এক মাসও হয়নি রাজনীতিতে এসেছে। ওর সম্পর্কে আর কী বলব? বাইরে থেকে এসেছে। ও আমাদের অতিথি। এখানকার মানুষ কোনও বহিরাগতকে ভোট দেবেন না।’’
আসানসোলেই জন্ম অগ্নিমিত্রা। সেখানকার লরেটো স্কুলেই পড়াশোনা করেছেন। তিনি জানান, এই বিধানসভা কেন্দ্রে একেবারেই নতুন নন তিনি। গোটা এলাকা ভাল করে চেনেন। আসানসোল, বার্নপুর, রানিগঞ্জ শিল্পাঞ্চলকে ভালবাসেন। তাই ‘ঘরের মেয়ে’কে সেখানকার মানুষ খালি হাতে ফেরাবেন না বলেই আশাবাদী অগ্নিমিত্রা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy