খড়্গপুরের সভায় ‘সোনার বাংলা’ গড়তে বঙ্গবাসীর কাছে ৫ বছর চেয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে এ বার তীব্র আক্রমণ তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর দাবি, ৫ বছর কেন, ৫০ বছরেও সোনার বাংলা করে গড়ে দেখানোর ক্ষমতা নেই মোদীর। শনিবার সকালে খড়্গপুরের বিএনআর মাঠে সভা করেন মোদী। একই দিনে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং, দাসপুর এবং ডেবরায় তিনটি সভা করেন অভিষেক। সেখান থেকেই মোদীর উদ্দেশে কটাক্ষ ছুড়ে দেন তৃণমূল সাংসদ।
ভোটবাক্স ভর্তি করতেই মোদী সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘খড়্গপুরে সভা করে মোদী বলছেন, ৫ বছর সময় দিন, সোনার বাংলা করে দেব। নোটবন্দির সময় ৫০ দিন সময় চেয়েছিলেন। কী বলেছিলেন মনে আছে? আমাকে ৫০ দিন সময় দিন। কালো টাকা ধ্বংস করতে না পারলে, ভারতের যে রাস্তায় দাঁড় করাবেন, যে শাস্তি দেবেন, তা মাথা পেতে নেব। তার পর ৫ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। কালো টাকা ধ্বংস হয়েছে? তা হলেই ভাবুন, ৫০ দিন সময় নিয়ে যদি কেউ ৫ বছরেও কাজ করতে না পারেন, ৫ বছর চেয়ে তো তিনি ৫০০ বছর কাবার করে দেবেন! ’’
দীর্ঘ ৭ বছর কেন্দ্রে ক্ষমতায় থেকেও যারা কিছু করতে পারেনি, বাংলার মানুষকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আগে তাদের কাজের খতিয়ান দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রে তো ৭ বছর রয়েছে। তার পরেও সোনার বাংলা হল না কেন জিজ্ঞেস করুন। ২০ বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকলেও, এত দিনেও সোনার গুজরাত হয়নি কেন? সোনার হরিয়ানা, সোনার মধ্যপ্রদেশ হয়নি কেন? এখন বলছেন সোনার বাংলা গড়বেন। লড়াই করতে চাইলে, প্রকৃত রাজনীতিক হলে কাজের পরিসংখ্যান নিয়ে সামনে রেখে লড়াই করুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো ১০ বছরের কাজের রিপোর্ট কার্ড দিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদীর রিপোর্ট কার্ড কোথায়?’’ বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলো তো বটেই, বাংলার মতো সাধারণ মানুষের জন্য বিনাপয়সায় খাবার, চিকিৎসা এবং রেশনের ব্যবস্থা করতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন অভিষেক।
তবে অভিষেকের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি-র রাজ্য মুখপাত্র প্রণয় রায় বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো প্রথম ৫ বছর পরেই বলেছিলেন, ১০০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার আবার ১১০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে বলেছেন। ১০ বছর পরে এখন দুয়ারে সরকার নিয়ে যেতে হচ্ছে। ১০ অঙ্গীকার করতে হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy