ফাইল ছবি
নন্দীগ্রাম কাণ্ডে দুর্ঘটনার তত্ত্ব সামনে আসতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা আক্রমণে নামল বিজেপি। ঘটনাটিকে নিয়ে তৃণমূল ‘সহানুভূতি তাস’ খেলতে চাইছে বলে দাবি করে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা বলেন, ‘‘সত্যি কখনও চাপা থাকে না।’’
বুধবার রাতে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে আহত হন তৃণমূলনেত্রী তথা নন্দীগ্রামের প্রার্থী মমতা। তাঁর কথায়,‘‘ভিড়ের মধ্যে ৪-৫ জন বাইরে থেকে ঢুকে পড়েছিল। ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় আমাকে। ইচ্ছাকৃত ভাবে ধাক্কা মারা হয়। এর পিছনে ষড়যন্ত্র ছিল।’’ পরে হাসপাতাল থেকে ভিডিয়ো বার্তায় মমতা জানান, ‘‘গাড়ির বনেটের উপরে দাঁড়িয়ে সকলকে নমস্কার করছিলাম। তখন এমন জোরে চাপ আসে, গাড়ির দরজাটা আমার পায়ের উপর চেপে যায়।’’ এতেই সত্যের অপলাপ দেখছেন জে পি নড্ডা।
জাতীয় সংবাদমাধ্যমে নড্ডা জানিয়েছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি আমি। ঈশ্বর ওঁর মঙ্গল করুন। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন উনি। কিন্তু যে ঘটনা নিয়ে এত আলোচনা, সেই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বিস্তারিত কিছু জানায়নি। কিন্তু আমি লক্ষ্য করেছি, মমতা বয়ান বদল করেছেন। ঘটনার পরেই, অর্থাৎ বুধবার তিনি যা বলেছিলেন, বৃহস্পতিবার সেই কথা বলেননি।’’
এই ঘটনা বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে কি সহানুভূতি-সমর্থন আদায় করে দেবে? নড্ডা বলছেন, ‘‘সত্যি কখনও চাপা থাকে না। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। নন্দীগ্রামের ঘটনা নিয়ে কোনও সহানুভূতি ইস্যু ভোটে কাজ করবে না। আমি নিশ্চিত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বারে পরাস্ত হবেন। সাধারণ মানুষ জবাব দেবেন। পশ্চিমবঙ্গ এক বদলের জন্য অপেক্ষা করছে।’’
কোন দু’টি বয়ানের কথা বলছেন নড্ডা? ঘটনার পরেই সংবাদমাধ্যমে মমতা বলেছিলেন, ‘‘ভিড়ের মধ্যে ৪-৫ জন বাইরে থেকে ঢুকে পড়েছিল। ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় আমাকে। ইচ্ছাকৃত ভাবে ধাক্কা মারা হয়। এর পিছনে ষড়যন্ত্র ছিল।’’ পরে হাসপাতাল থেকে মমতা যে বার্তা দিয়েছেন, সেখানেও কমবেশি একই কথা বলেছেন তিনি। বলেন, ‘‘গাড়ির বনেটের উপরে দাঁড়িয়ে সকলকে নমস্কার করছিলাম। তখন এমন জোরে চাপ আসে, গাড়ির দরজাটা আমার পায়ের উপর চেপে যায়।’’ নির্বাচন কমিশনে মুখ্যসচিবের দেওয়া রিপোর্টেও বলা হয়েছে, সে দিন মুখ্যমন্ত্রী তথা নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রচারে বেরিয়েছিলেন। বিরুলিয়া বাজারে ভিড় হয়েছিল। বাজারের মাঝে একটি বাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি ধীর গতিতে চলছিল। মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির দরজা কোনওক্রমে বন্ধ হয়ে যায়, তাতে তাঁর পা চাপা পড়ে যায়।
নড্ডা আক্রমণ করেছেন এই দুই বয়ান নিয়েই। তৃণমূল অবশ্য বয়ান বদলের তত্ত্ব মানতে নারাজ। নেটমাধ্যমে তৃণমূলের একাধিক পেজে ঘটনার ভিডিয়ো পোস্ট করে সেগুলিকে ‘ঘটনার আসল ফুটেজ’ বলে দাবি করা হয়। যদিও ঘটনা নিয়ে এখনও নির্বাচন কমিশন কোনও মন্তব্য করেনি। ইতিমধ্যে জেলাশাসক ও মুখ্যসচিব আলাদা ভাবে দু’টি রিপোর্ট কমিশনে পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্রের দাবি, মুখ্যসচিবের রিপোর্টে ‘যথেষ্ট তথ্য’ না থাকায় শনিবারের মধ্যে তাঁকে আরও তথ্য দিতে বলেছে কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy