Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Sitalkuchi

Bengal Polls: বিচার চাইছে গোটা গ্রাম, শীতলকুচিতে বাহিনীর গুলিতে নিহতদের শেষকৃত্য সম্পন্ন

এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া। ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রাম। বিচার চাইছেন নিহতের আত্মীয়-পরিজন। রবিবার বিকালে নিহতদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

নিহতদের শেষ শ্রদ্ধা গ্রামের বাসিন্দাদের।

নিহতদের শেষ শ্রদ্ধা গ্রামের বাসিন্দাদের। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শীতলকুচি শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২১ ১৭:০২
Share: Save:

কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে শনিবার নিহত হয়েছেন ৪ জন। সেই ঘটনার জেরে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রাম। ময়নাতদন্তের পর রবিবার নিহতদের দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। সম্পন্ন হয় শেষকৃত্যও। রবিবার নিহতদের আত্মীয়দের সঙ্গে শিলিগুড়ি থেকে ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক নেতৃত্বের কোচবিহার জেলা সফরে কমিশনের নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর ঘটনাস্থলে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

শনিবার মাথাভাঙার জোরপাটকায় আমতলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বুথে ভোটগ্রহণ চলাকালীন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত হন ওই এলাকার বাসিন্দা মণিরুল মিয়াঁ, হামিদুল মিয়াঁ, ছামিউল মিয়াঁ এবং নুর ইসলাম মিয়াঁর। রবিবার দুপুরে নিহতদের দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। দেহগুলি আমতলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিহতদের শেষ শ্রদ্ধা জানান গ্রামের বাসিন্দারা। উত্তোলন করা হয় কালো পতাকা। বিকালে দেহগুলি সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় সমাধিস্থ করার জন্য।

জোরপাটকা এলাকা জুড়ে নেমেছে শোকের ছায়া। শনিবার ৪ জনের হত্যা দেখার পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রাম। কারও বাড়িতেই রান্নার আয়োজন দেখা যায়নি। গ্রামে বাহিনী নেই, তবে মূল ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। নিহতদের বেশিরভাগেরই বয়স ২০ থেকে ৩০-এর মধ্যে। তাঁদের মধ্যে মনিরুল সিকিমে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। হামিদুলও মাথাভাঙায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। ছামিউল ছিলেন মাথাভাঙা কলেজের ছাত্র।

রবিবার শিলিগুড়ি থেকে ফোনে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। নিহত মনিরুলের মামা ফোনে মমতাকে বলেন, ‘‘আমাদের ভাগ্নে মনিরুল বাইরে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। ভোট দেওয়ার জন্য বাড়িতে এসেছিল। ভোট দিতে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী তাকে-সহ মোট ৪ জনকে নির্মম ভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। তাদের সন্তান, বাবা-মা রয়েছে বাড়িতে। আমরা বিচার চাই। হত্যাকারীদের শাস্তি চাই। ভোট দিতে গিয়ে যদি খুন হতে হয় তা হলে দেশের আইন কেমন?’’ মনিরুলের মামার আরও অভিযোগ, ‘‘ভোট দেওয়ার জন্য ও বুথের সামনে দাঁড়িয়েছিল। এক দল কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথা থেকে আসে। গুলি করে পালিয়ে যায়। ভয়ে অন্যরা সকলে পালিয়ে যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাওয়ার পর এসে দেখি ওরা মারা গিয়েছে। ওর ৪৫ দিনের একটা শিশু সন্তান রয়েছে।’’

নিহত হামিদুলের দাদা মঞ্জুর আলি মিয়াঁ হতাশ গলায় মুখ্যমন্ত্রীকে ফোনে বলেন, ‘‘ও রাজমিস্ত্রির কাজ করত মাথাভাঙায়। আমরা অসহায়। ওর ৩ বছরের মেয়ে। স্ত্রীও গর্ভবতী। আমরা কী করব বুঝে উঠতে পারছি না।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy