তাঁর মাসিক আয় ১২ হাজার টাকা। একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় পিওনের কাজ করেন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পড়ে মাত্র ১২ টাকা। সেই যুবককেই ৩৬ কোটি টাকার নোটিস ধরাল আয়কর দফতর। আর সেই নোটিস পেয়ে দিশাহারা যুবক এবং তাঁর পরিবার। ঘটনাটি গুজরাতের সবরকণ্ঠের।
জীতেশকুমার মাকওয়ানা। সবরকণ্ঠের রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁকেই ৩৬ কোটি টাকার নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর দফতর। জীতেশ জানিয়েছেন, তাঁকে যে নোটিস পাঠানো হয়েছে, সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এই টাকা কোথা থেকে এল, কোথায় লেনদেন হয়েছে, তার জবাবদিহি করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
নোটিস পাওয়ার পর থেকেই আতঙ্কিত জীতেশকুমার। তাঁর কথায়, ‘‘আমি সামান্য মাইনের চাকরি করি। ৩৬ কোটি টাকার নোটিস পেয়ে জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থা হয়েছিল। আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাত্র ১২ টাকা পড়ে রয়েছে। এত টাকা কোনও দিন চোখেও দেখিনি। লেনদেন হবে কোথা থেকে।’’ জীতেশ জানিয়েছেন, নোটিস নিয়ে তিনি স্থানীয় থানায় যান। সেখান থেকে তাঁকে সাইবার শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। সাইবার শাখায় গিয়ে বিষয়টি জানালে তারা আয়কর দফতরে যেতে বলে। সেখান থেকে আবার বলা হয় জিএসটি দফতরে যোগাযোগ করতে। জীতেশের কথায়, ‘‘এ ভাবে নোটিস নিয়ে গোলচক্কর কেটে চলেছি। কিন্তু কেউই আমাকে কোনও উপায় বলে দিচ্ছে না।’’ কোথাও কোনও রকম সহযোগিতা না পেয়ে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে তাঁর, দাবি জীতেশের।