নিজেদের প্রতীকে প্রার্থী দিল সিপিএম।
কৃষ্ণগঞ্জের পর এ বার চাপড়া।
মোর্চা-সঙ্গী আইএসএফ প্রার্থী দেওয়ার পরও নিজেদের প্রতীকে প্রার্থী দিল সিপিএম। যা নিয়ে জোট-জটিলতা বৃদ্ধি পেল বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে রানাঘাটে মহকুমাশাসকের দফতরে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী ঝুনু বৈদ্য। সিপিএমের দাবি ছিল, আইএসএফ প্রার্থী অনুপ মণ্ডলের সঙ্গে বিজেপির যোগ আছে। তাঁর স্ত্রী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন।
চাপড়ার আইএসএফ প্রার্থী কাঞ্চন মৈত্র ২০০১ সালে চাপড়া ও ২০০৬ সালে শান্তিপুর থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন। সেই কথা তুলে একেবারে প্রথম থেকে কাঞ্চনবাবুর বিরোধিতা করে এসেছে কংগ্রেস। জেলা কমিটির থেকে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে প্রার্থী বদলের দাবিও জানানো হয়েছে। আইএসএফের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বের কথাও হয়েছে বলে জেলা নেতৃত্বের দাবি। তাতে কোনও কাজ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তারা নিজেরা প্রার্থী দিতে বাধ্য হয়েছে বলে দাবি সিপিএম নেতৃত্বের।
শনিবার একেবারে শেষ বেলায় সিপিএমের প্রার্থী হিসাবে মনোননপত্র জমা দিয়ে যান চাপড়ার বাসিন্দা জাহাঙ্গির বিশ্বাস। বছর ছত্রিশের ওই প্রার্থী সিপিএমের চাপড়া এরিয়া কমিটিক সম্পাদক। ২০১২-১৬ সাল পর্যন্ত এসএফআই-এর জেলা কমিটির সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে দলের সর্বক্ষণের কর্মী।
সিপিএম তাঁকে নিয়ে আশাবাদী হলেও বিষয়টি মানতে পারছেন না জোট শরিক কংগ্রেস এবং বাম শরিক ফরোয়ার্ড ব্লক। কংগ্রেসের চাপড়া ব্লক সভাপতি নাসির শেখ বলছেন, “সিপিএম জোট ধর্ম পালন করল না।” চাপড়ার বাসিন্দা ফরোয়ার্ড ব্লকের জেলা কমিটির সভাপতি মানরুল হক বলেন, “সিপিএম প্রার্থী দিয়ে ঠিক করল না।”
আইএসএফ প্রার্থী কাঞ্চন মৈত্রের কথায়, ‘‘যদি এর জন্য জোট প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় তার জন্য দায়ী থাকবে চাপড়ার সিপিএম।” আর সিপিএম প্রার্থী জাহাঙ্গীর বিশ্বাস বলছেন, “আমরা জোট চেয়েছি বলেই চাপড়া আইএসএফকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাই বলে বকলমে বিজেপির হাতে ওই আসন ছেড়ে দেওয়া যায় না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy