Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

তৃণমূলের আতঙ্কে ত্রস্ত গ্রাম, পুলিশের অভয়েও মুখে কুলুপ

ভোট দিতে না যাওয়ার ফতোয়া জারি করে তৃণমূল নেতারা শাসিয়ে গিয়েছেন গ্রামবাসীদের। তা সত্ত্বেও যাঁরা বুথমুখো হয়েছিলেন, মাঝপথেই চোখ রাঙিয়ে তাঁদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। পুলিশ আসরে নেমেছিল ভয় ভাঙিয়ে ভোটারদের বুথমুখো করার জন্য। কিন্তু আতঙ্ক এতই চেপে বসেছে যে পুলিশের সামনেও কেউ মুখ খুলতে রাজি নন। শুনে নিন সেই কথোপকথন:

পাঁশকুড়ার গ্রামে ভোটদাতাদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।

পাঁশকুড়ার গ্রামে ভোটদাতাদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৬ ১৩:৪১
Share: Save:

পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় গ্রামের পর গ্রামে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভোট দিতে না যাওয়ার ফতোয়া জারি করে তৃণমূল নেতারা শাসিয়ে গিয়েছেন গ্রামবাসীদের। তা সত্ত্বেও যাঁরা বুথমুখো হয়েছিলেন, মাঝপথেই চোখ রাঙিয়ে তাঁদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। পুলিশ আসরে নেমেছিল ভয় ভাঙিয়ে ভোটারদের বুথমুখো করার জন্য। কিন্তু আতঙ্ক এতই চেপে বসেছে যে পুলিশের সামনেও কেউ মুখ খুলতে রাজি নন। শুনে নিন সেই কথোপকথন:

পুলিশ: আপনাদের ভোট না দিতে যাওয়ার জন্য ভয় দেখাচ্ছে? আমরা আছি তো। আহা! নামটা বলুন না। কোন দলের লোক হুমকি দিচ্ছে? তৃণমূল না সিপিএম?

মহিলা: ভোট দিতে গিয়েছিলাম। মোড়ের মাথা থেকে ভয় দেখিয়েছে। ফটো ভেঙেছে। পরে বলেছে ঘরদোর ভেঙে দেবে। পুলিশ: বলুন না কোন দল হুমকি দিচ্ছে? আমরা আছি, কোনও অসুবিধা হবে না।

মহিলা: বারণ করেছে। আমরা বলব না। আপনারা তো চলে যাবেন। আমাদের তো থাকতে হবে।

দেখুন সেই ভিডিও:

পুলিশ: রুলিং পার্টি, রুলিং পার্টি করেছে এই সব।

(এক বৃদ্ধার সঙ্গে কথা বলতে গেল পুলিশ)

পুলিশ: মাসিমা, ভোট না দিতে হুমকি দিচ্ছে?

বৃদ্ধা: হ্যাঁ, ভোট দিতে মানা করেছে।

আরও পড়ুন:

বাহিনী-পুলিশ আজও কড়া, শেষ দফার ভোট এখনও মানুষের দখলেই

পুলিশ: কে বারণ করেছে? কোন পার্টি থেকে ভয় দেখাচ্ছে?

বৃদ্ধা: বললে হবে? আপনারা তো চলে যাবেন। তার পর কী হবে?

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE