এক সময়ের বাম সঙ্গ থেকে শুরু করে অধুনা সঙ্ঘের হাত ধরা। রুপোলি পর্দার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তারকা মিঠুন চক্রবর্তীর। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেই সম্পর্কের ওঠানামাও লক্ষ্য করা গিয়েছে সময়ের সঙ্গে। বাম, তৃণমূল হয়ে ‘নকশাল’ গৌরাঙ্গ চক্রবর্তীর রাজনৈতিক যাত্রায় এ বারের স্টপেজ বিজেপি, ‘রং দে তু মোহে গেরুয়া’। বেশ কয়েক দিন ধরে চলা জল্পনা সত্যি প্রমাণ করে রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড মঞ্চে রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন হল ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’র। বক্তৃতায় ‘মহাগুরু’র কথা তুলে ধরে বার্তা দিলেন মোদীও।
মৃণাল সেনের ছায়াছবি ‘তাহাদের কথা’র শিবনাথ বা ‘মৃগয়া’র ঘিনুয়া চরিত্র পর্দা থেকে উঠে এসে শোরগোল তুলেছিল বাস্তবেও। কখনও বিপ্লবী, কখনও তির-ধনুক হাতে ফুঁসে ওঠা সাঁওতাল যুবক। স্বাভাবিক ভাবেই ওই সব ছবির নায়ক মিঠুন এক সময় এ রাজ্যের বামনেতাদের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু এবং সিপিএম নেতা সুভাষ চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের ‘গভীরতা’ ছিল সর্বজনবিদিত।