বিধায়ক পরেশ মুর্মুকেই ফের কেশিয়াড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
নীলবাড়ির লড়াইয়ে কেশিয়াড়ি কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে পরেশ মুর্মুর নামে সিলমোহর দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুক্রবার দুপুরে পরেশের নাম ঘোষণার পরেই তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের একাংশ। পরেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করে পদত্যাগও করেছেন দলের বহু পুরনো কর্মী। যদিও পরেশকে নিয়ে দলের মধ্যে কোনও ক্ষোভ নেই বলে পাল্টা দাবি করেছেন জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। যাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ, সেই পরেশও সমস্ত অভিযোগ ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করেছেন। তবে গোটা ঘটনা ঘিরে ভোটের আগেই শাসকদলের কোন্দল প্রকাশ্যে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পরেশকেই ফের ওই জায়গার প্রার্থী ঘোষণা করেছেন মমতা। তবে তৃণমূলনেত্রীর এই সিদ্ধান্তে প্রকাশ্যেই ক্ষুব্ধ দলের পুরনো কর্মীদের একাংশ। বিধানসভা এলাকার প্রাক্তন ব্লক সভাপতি পবিত্র সিট এবং রাজ্য যুব তৃণমূল সম্পাদিকা কল্পনা সিট এ নিয়ে শুক্রবার বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের কথায়, “এলাকার কোনও উন্নয়ন করেননি পরেশ মুর্মু। তাঁকে প্রার্থী করলে দলের ভাল হবে না। তিনি দলের কর্মীদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন।”
যদিও নিজের দলের কর্মীদের একাংশের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পরেশ। তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। করোনা হওয়ার পরে দলের কাজ শুরু করেছি। এ বার ফের প্রার্থী করায় দলের হয়ে আরও জোরদার কাজ করব।”
তবে পরেশের আশ্বাসে বিবাদ মেটেনি জেলা তৃণমূলের অন্দরে। পরেশকে ফের প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই শতাধিক তৃণমূলকর্মী দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। দলত্যাগীদের মধ্যে রয়েছেন কল্পনা এবং পবিত্র। তাঁদের অভিযোগ, “দীর্ঘদিন ধরেই একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত পরেশ। আমরা দুর্নীতিবাজ ও বহিরাগত বিধায়কের সঙ্গে কাজ করতে পারব না বলেই পদত্যাগ করলাম।”
বিক্ষুব্ধদের দাবি, পরেশের বিরুদ্ধে দলের কাছে বিভিন্ন সময় অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে তাতে কাজের কাজ হয়নি। যদিও বিক্ষুব্ধদের এই ক্ষোভকে পাত্তা দিতে নারাজ জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “দলের মধ্যে কোন ক্ষোভ-বিক্ষোভ নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy