নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।
রবিবার তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। তবে তার আগে শনিবারই এনডিএ-র শরিকদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন তিনি। সব ঠিকঠাক থাকলে, সেই বৈঠকেই ঠিক হয়ে যাবে কে কোন মন্ত্রক পাচ্ছেন। শরিক দলগুলির জন্য বিজেপি কোন কোন মন্ত্রক ছাড়বে, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে নানা মহলে।
এ বারে ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনও দল। বিজেপি আটকে গিয়েছে ২৪০ আসনে। তাই সরকার গড়তে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের ভরসা করতে হচ্ছে এনডিএ-র শরিকদের উপর। প্রাপ্ত আসন সংখ্যার নিরিখে এনডিএ-র শরিকদের মধ্যে বিজেপির পরই রয়েছে তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)। তাদের ঝুলিতে রয়েছে ১৬টি আসন। তৃতীয় স্থানে নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)। তারা পেয়েছে ১২টি আসন।
এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও ২০১৪ এবং ২০১৯-এর মতো এ বার বিজেপি একক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। কারণ, ৫৪৫ আসনের (দু’টি মনোনীত আসন-সহ) লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭৩টি আসন। বিজেপি একক ভাবে জিতেছে ২৪০টি আসন। এনডিএ পেয়েছে ২৯৩ আসন। সরকার গড়ার ক্ষেত্রে যদি টিডিপি, জেডিইউ-র মতো দল বেঁকে বসে, তবে চাপে পড়বেন মোদী। তারা যাতে জোট ছেড়ে বেরিয়ে না যায়, তা নিয়ে তৎপর বিজেপি।
শোনা যাচ্ছে, চন্দ্রবাবু নায়ডু, নীতীশরা ইতিমধ্যেই নিজেদের শর্ত জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্বকে। তাঁরা কে কোন মন্ত্রক চান, বা রাজ্যের জন্য কে কী সুবিধা চাইছেন— তার তালিকা জমা করেছেন। মৌখিক আলোচনাও হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, শনিবারের বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এ ব্যাপারে।
তৃতীয় বারের জন্য সরকার গড়ার ব্যাপারে আশাবাদী মোদী। শুক্রবারই এনডিএ-র সংসদীয় নেতা হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে তাঁকে। শরিকেরা সর্বসম্মত ভাবে মোদীর নামে সমর্থন জানিয়েছেন। তার পর বিকেলেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে গিয়ে তৃতীয় বার সরকার গঠনের জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে আবেদন জানিয়েছেন মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy