জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। ছবি: পিটিআই।
জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন আয়োজনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন। সেখানে নির্বাচনে লড়ার প্রতীক চিহ্নের আবেদন গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সে কথা জানিয়েছে কমিশন।
কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ‘নির্বাচনী প্রতীক (সংরক্ষণ এবং বরাদ্দ) আদেশ, ১৯৬৪’-এর ১০বি অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রতীক চিহ্ন বরাদ্দের আবেদন গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্রুত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।’’ কমিশনের সচিব জয়দেব লাহিড়ি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানিয়েছেন।
কিছু দিন আগে লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর পরই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেছিলেন, শীঘ্রই জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন আয়োজন করা হবে। সেখানে লোকসভা আসনগুলিতে ভোটের হার নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উৎসাহ প্রমাণ করেছে। তাই কমিশনও দ্রুত বিধানসভা ভোট আয়োজনে আগ্রহী।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, লোকসভার সঙ্গেই জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্টও ঘোষণা করে দেবে কমিশন। কিন্তু তা হয়নি। ভোটের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বলেছিলেন, অবিলম্বে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন আয়োজন করা হবে। সেই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও জানান তিনি।
২০১৪ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে শেষ বার বিধানসভা ভোট হয়েছিল অবিভক্ত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে। ২০১৯ সালের অগস্টে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারাটি বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার এবং রাজ্যের মর্যাদা বিলোপ করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। তার তিন বছর আগেই অবশ্য রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল বিধানসভা। এখনও পর্যন্ত সেখানে আর বিধানসভা ভোট হয়নি। লোকসভায় সেখানকার পাঁচটি আসনে ভোটের হার নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে কমিশনও। তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জম্মুতে ৫৮.৫৮ শতাংশ এবং উপত্যকা অঞ্চলে ৫১.০৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ কবে ঘোষিত হয়, তা সময়ই বলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy