শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
কাঁথি-তমলুক দুই আসনেই জিততে চলেছে বিজেপি। নন্দীগ্রামই ৩০ হাজার ভোটের লিড দেবে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। শনিবার ভোট শেষে এমনটাই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যও পাল্টা দাবি করলেন, তিনি জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য মহিলারা তাঁকে ঢেলে ভোট দিয়েছেন।
বিজেপি সূত্রে খবর, গত বিধানসভা নির্বাচনে নিরিখে দেখলে তমলুক কেন্দ্রে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। সাতটি বিধানসভার মধ্যে তাদের দখল ছিল চারটি আর বিজেপির দখলে তিনটি। এই বিষয়টি নজরে রেখে পদ্মশিবির প্রথম থেকেই নিজেদের দখলে থাকা নন্দীগ্রাম, হলদিয়া ও ময়নাকেই পাখির চোখ করেছিল। নন্দীগ্রামের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন শুভেন্দু। শনিবার বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদই তিনি নন্দীগ্রামে পৌঁছে যান। নন্দনায়েকবাড়ে একটি ভাড়াবাড়িতে বসে ভোট পরিচালনা করেন। দিনের শেষে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘এ বার আমরা নন্দীগ্রামে দুই ব্লক মিলিয়ে ৩০ হাজারের লিড পাব। এ বার নির্বাচনে ৯০ শতাংশ বুথে ভাল ভোট হয়েছে। তবে ১০ শতাংশ বুথে সমস্যা তৈরি করেছে তৃণমূল। আগে ৯০ শতাংশ বুথে ওরা ঝামেলা পাকাত। এ বার তার বদল হয়েছে।’’ তার আগে ভোটগ্রহণ চলাকালীনই শুভেন্দু দাবি করেছেন, ‘‘তৃণমূল খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। দুটো সিটই (তমলুক ও কাঁথি) জিতব আমরা। আমাদের কোর ভোটাররা প্রায় ভোট দিয়ে দিয়েছে।’’
জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু। তিনি বলেন, “আজ সকাল থেকেই হলদিয়া, তমলুক, ময়না, নন্দকুমার ঘুরেছি। যেখানেই সমস্যা পাকানোর চেষ্টা হয়েছে, তা রুখে দিয়েছে মানুষ। আমার জয় নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত। এখানে লক্ষ্মীর ভান্ডারের ভোট হয়েছে। মহিলাদের বিপুল উৎসাহে ভোটদান তারই প্রমাণ দিচ্ছে। সকাল থেকে শুভেন্দু অধিকারী বা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে মেজাজে ছিলেন, বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের মুখের ভাব বদলে গিয়েছে। তমলুকে বিজেপির ভোটে জেতার আশা যে নেই, তা তাদের আচরণ থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।”
দিনের শেষে অভিজিৎ বলেন, ‘‘পুলিশ নতুন ধরনের অত্যাচার চালু করেছে। বাড়িতে ঢুকে অত্যাচার চালানোর চেষ্টা করেছে। আমি কোনও প্রেডিকশন করি না। ৪ তারিখে যে রেজাল্ট বেরোবে, তা সকলেই দেখতে পাবেন। আমাকে যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছে, তাদের বলব, আপনারা আসলে বিভ্রান্ত। তারা আসলে জানে না, কে চোর। আমাদের বিরুদ্ধে যদি কেউ ছাপ্পার অভিযোগ তোলে, তা ঠিক নয়। আমাকে যদি সন্তুষ্টির নম্বর দিতে হয়, তা হলে ১০০-য় ৪২ দেব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy