Advertisement
Back to
Citizenship Amendment Act

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে উপকৃত মাত্র ৩১ হাজার! রিপোর্ট তুলে বিজেপিকে আক্রমণে তৃণমূল

বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটের মুখে হিন্দু ভোটের মেরুকরণ করতেই ওই আইনটিকে কার্যকর করা হয়েছে। বিশেষ করে এর ফলে পশ্চিমবঙ্গে মতুয়া ভোট গেরুয়া শিবিরের পাশে থাকবে বলেই মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

amit shah

অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৪ ০৭:৩১
Share: Save:

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি সংসদে পাশ হওয়ার আগে তাকে খতিয়ে দেখার জন্য পাঠানো হয়েছিল যৌথ সংসদীয় কমিটিতে (জেপিসি)। অন্যান্য অনেক সংস্থার মতোই জেপিসি-র পক্ষ থেকে মতামত নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইবি-র। আইবি তার রিপোর্টে জানায়, এই আইনের ফলে উপকৃত হবেন মাত্র ৩১,৩১৩ জন ব্যক্তি! আজ এই পুরনো তথ্য তুলে ধরে তাঁর সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে। তাঁর বক্তব্য, “প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই আইনকে শরণার্থী-দরদি এক দুর্দান্ত আইন হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এটি বাস্তবে একটি ‘জুমলা’ ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত যাঁরা এসেছেন, তাঁদের মধ্যে এই আইনে নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য মাত্র ৩১,৩১৩ জন ব্যক্তি।” গোখলের কথায়, “সুতরাং আসল প্রশ্ন হল, এর পর জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) জারি করে সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়াই কি এই আইন আনার আসল লক্ষ্য? আমরা এর উত্তর চাই। এর পিছনে আসল উদ্দেশ্য কী?”

বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটের মুখে হিন্দু ভোটের মেরুকরণ করতেই ওই আইনটিকে কার্যকর করা হয়েছে। বিশেষ করে এর ফলে পশ্চিমবঙ্গে মতুয়া ভোট গেরুয়া শিবিরের পাশে থাকবে বলেই মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। অন্য দিকে ওই আইনের ফলে বহু মানুষের নাগরিকত্ব চলে যাবে, এই যুক্তিতে প্রচারে নেমেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক বিরোধী দলের নেতারা।

কংগ্রেস শীর্ষ সূত্রের বক্তব্য, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বর মতো দেশবাসীর প্রকৃত সমস্যাগুলি থেকে নজর ঘোরানোর জন্যই ভোটের ঠিক মুখে সিএএ-র আমদানি করেছে মোদী-শাহের দল। বিরোধীরা প্রথম থেকেই এই বিলের সমালোচনা করে বলেছে, ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া যায় না। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলাও করা হয়েছে, যা এখনও ঝুলে রয়েছে। কংগ্রেসের বক্তব্য, বিজেপি ২০১৯ সালে এই আইন সংসদে পাশ করানোর পাঁচ বছর পরে ঠিক ভোটের মুখেই একে আনল নিছকই আসল বিষয়গুলি থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য। এসপি-র বক্তব্য, হিন্দু এবং মুসলমানের মধ্যে মেরুকরণ করাটাই লোকসভার আগে মোদীর লক্ষ্য। আর তাই এই সময় বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই আইনটি চালু করা হল।

এর আগে কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেছিলেন, সিএএ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তটি নির্বাচনে মেরুকরণের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটিকে ‘নির্বাচনের আগে শো-অফ’ বলে অভিহিত করেছেন। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন যে, রাজ্যের সিপিএম সরকার সিএএ-র বাস্তবায়ন করবে না।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy