তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেব। — ফাইল ছবি।
আসন্ন লোকসভা ভোটে দেব আবার প্রার্থী হচ্ছেন ঘাটাল থেকেই? শনিবার প্রথমে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তার পর মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন দেব। দু’জায়গা থেকে বেরিয়ে কিছুই বলেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত বিজেপি নেতা তথা বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে হাসপাতাল থেকে দেখে বেরিয়ে এ বিষয়ে মুখ খুললেন। জানিয়ে দিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর মতামত তাঁর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে বললেন, ‘‘আমি রাজনীতি ছাড়লেও রাজনীতি আমায় ছাড়বে না!’’ তার পরেই দেবের রাজনীতিতে আপাত ‘প্রত্যাবর্তন’ ঘিরে গুঞ্জন শুরু।
বেশ কিছু দিন ধরেই আর ভোটে না লড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল দেবের তরফ থেকে। নিজের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত তিনটি প্রশাসনিক পদ— ঘাটাল কলেজ, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি এবং বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন তৃণমূলের সাংসদ-অভিনেতা। তার পর সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে দেব লেখেন, ‘‘সংসদে আমার শেষ দিন।” তার পর থেকেই দেবের রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর জল্পনা দানাপানি পাচ্ছিল। কিন্তু তিনি নিজে এ ব্যাপারে একটিও কথা বলেননি শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। শনিবার দুপুরে ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের অফিসে যান দেব। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলেন ঘাটালের সাংসদ। তার পর ক্যামাক স্ট্রিট থেকে দেবের গাড়ি ছোটে কালীঘাটে দলনেত্রীর বাড়ির উদ্দেশে। মমতার সঙ্গেও কিছু ক্ষণ কথা বলেন দেব। তখন থেকেই সিদ্ধান্ত বদলের জল্পনা শুরু হয়। সন্ধ্যায় তিনি গিয়েছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে সতীর্থ কিন্তু রাজনীতিতে অধুনা উল্টো মেরুর বাসিন্দা মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখতে বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালে। মিঠুনকে দেখে বেরিয়ে তিনি দিনের ঘটনাক্রম নিয়ে নিজের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য সংবাদমাধ্যমকে জানান। যে বক্তব্যে তিনি যে ঘাটাল থেকেই আবার তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে দেব বলেন, ‘‘আমি চাইলেও যে, আমি বেরিয়ে যাব বা দাঁড়াব না, সেটা হবে না। দিদির মতামত খুব গুরুত্বপূর্ণ। আজকের জন্য একটাই লাইন, আমি রাজনীতি ছাড়লেও রাজনীতি আমায় ছাড়বে না।’’
মমতা বা অভিষেক— কার সঙ্গে দেবের কী কথা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে দেব যে অভিষেকের সঙ্গে দেখা করতে আসবেন, তা আগে থেকেই ঠিক ছিল। তৃণমূল সূত্রে খবর, দেবকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বই। তবে তাঁর কালীঘাটে যাওয়ার বিষয়টি আগে থেকে জানা ছিল না। স্বভাবতই, হঠাৎ ঘটে যাওয়া ‘ঘটনার’ নেপথ্যে ‘খেলা ঘোরা’র ইঙ্গিত পাচ্ছিলেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কিন্তু দেব মুখ না খোলায় তা নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় ছিল। শনিবার রাত আটটার কিছু পরে হাসপাতালে মিঠুনকে দেখে বেরিয়ে দেব যা বললেন, তাতে এক প্রকার স্পষ্টই হয়ে গেল, তিনি চান বা না চান, রাজনীতি থেকে অবসর আপাতত তাঁর নেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দলনেত্রী মমতার মতামত। পাশাপাশি জানিয়ে রাখলেন, তিনি রাজনীতি ছাড়লেও, রাজনীতি তাঁকে ছাড়তে রাজি নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy