সায়নী ঘোষ এবং লাভলি মৈত্র। —নিজস্ব চিত্র।
প্রচারে বেরিয়ে দলীয় বিধায়ক এবং রাজনৈতিক কর্মীদের সঙ্গে হোলিতে মাতলেন যাদবপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে একে অপরকে আবির মাখিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন দুই অভিনেত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী সায়নী এবং লাভলি মৈত্র। সেখান থেকে শিবের পুজো নিয়ে বিজেপির কটাক্ষের জবাবও দিলেন সায়নী।
রবিবার সকাল সকাল প্রচার বেরিয়ে পড়েছেন সায়নী। সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক লাভলি মৈত্র তাঁকে স্বাগত জানান। দু’জনে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ২৫ এবং ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। বাইক এবং টোটো নিয়ে এই দুই ওয়ার্ডের নানা এলাকা ঘোরেন ওই তৃণমূল প্রার্থী। একাধিক জায়গায় দেখা গেল মহিলারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে সায়নীকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন। পরে তাঁদের সবার সঙ্গে আবির খেলেন সায়নী।
অন্য দিকে, রবিবার শিবমন্দিরে পুজো দিয়ে সোনারপুর বাজার এলাকায় প্রচার করেন যাদবপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি সোনারপুরে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ করে রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করে বলেন, ‘‘রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপির উপর হামলা করছে। স্থানীয় প্রশাসনও নিরপেক্ষ নয়। তারা রাজ্যের শাসকদলের হয়ে কাজ করছে।’’ পাশাপাশি তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘স্থানীয় প্রশাসনের এই ভূমিকা সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে জানাব।’’ আর শনিবার শিব মন্দিরে তাঁর পুজো দেওয়া নিয়ে বিজেপির কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে রবিবার মুখ খোলেন সায়নী। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির কটাক্ষ ছাড়া অন্য কিছু করার নেই। বিজেপির প্রতি মানুষের সাড়া এবং সমর্থন কিছুই নেই।’’ তিনি সাংসদ হলে ‘টিকটক’ ছাড়া কোথাও দেখা যাবে না— বিজেপির এই কটাক্ষের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘সেটা মানুষের উপর ছেড়ে দিন না! বিজেপির মতো আমরা ভোটপাখি নই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিজেপি তো কটাক্ষই করবে। এ ছাড়া ওদের কিছুই নেই। গোটা নির্বাচনের জন্য আমি প্রচার করছি। ওরা কটাক্ষ করছে। বাকিটা মানুষের জন্য ছেড়ে দিই। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের চেয়ে সায়নী ঘোষকে ১০০ শতাংশ বেশি দেখেছে।’’ সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি বলেন, ‘‘অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় ভয় পেয়ে নানা রকম অভিযোগ করছেন। মানুষের সমর্থন ওঁদের সঙ্গে নেই।’’
অন্য দিকে, রবিবার চম্পাহাটিতে হেঁটে প্রচার করেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। আত্মবিশ্বাসের সুরে তাঁর দাবি, ‘‘যে ভাবে সমর্থন পাচ্ছি তাতে যাদবপুর এ বার আর ‘পার্ট টাইম এমপি’ পাবে না।’’ পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘‘মন্দিরে পুজো দেওয়া রাজনীতির ইস্যু হওয়া উচিত নয়। মানুষের রুজিরুটি, পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম, চাকরি, স্কুল-কলেজ, পানীয় জল এই নিয়ে রাজনীতির তরজা হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy