প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। —ফাইল চিত্র ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগেই লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন বাম-কংগ্রেস জোটকে। মঙ্গলবার ত্রিপুরায় পৌঁছে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা কিন্তু ‘কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি’র পথ মাড়ালেন না। বরং বামেদের সঙ্গে যৌথ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে প্রতিশ্রুতি দিলেন পাঁচ ন্যায় পূরণের। যার উপর ভিত্তি করেই এ বার লোকসভা ভোটের ইস্তাহার প্রকাশ করেছে কংগ্রেস।
মঙ্গলবার আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম মাণিক্য বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পরে শহরের পুরনো রাজভবন থেকে দুর্গা চৌমহনি এলাকা পর্যন্ত রোড-শো করেন প্রিয়ঙ্কা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা ত্রিপুরা পশ্চিম লোকসভা আসনের কংগ্রেস প্রার্থী আশিস সাহা, কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা সুদীপ রায়বর্মনের পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ শঙ্করপ্রসাদ দত্ত। রোড-শোতে বিপুল জনসমাগম হয়েছিল।
পরে এক্স হ্যান্ডলে প্রিয়ঙ্কা লেখেন, ‘‘আজ আমি ত্রিপুরা পশ্চিমে মা ত্রিপুরেশ্বরীর ভূমিতে রোড-শো করেছি এবং এখানকার ভাইবোনদের সঙ্গে দেখা করেছি। কংগ্রেসের পাঁচ ন্যায়ের প্রতিশ্রুতি নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রচণ্ড উৎসাহ। কংগ্রেস ৩০ লক্ষ চাকরি, কৃষকদের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি), মহিলাদের জন্য বার্ষিক এক লক্ষ টাকা অনুদান, ভূমিহীনদের জমি এবং দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষার প্রতিশ্রুতি পালন করবে।’’
আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যের পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এ বার সেখানে বিজেপির সঙ্গে বাম-কংগ্রেস জোটের কড়া টক্কর হতে পারে বলে ভোট-পণ্ডিতদের একাংশ মনে করছেন। ত্রিপুরার রাজপরিবারের সন্তান প্রদ্যোতকিশোর দেববর্মণের দল তিপ্রা মথার সঙ্গে এ বার জোট গড়েছে বিজেপি। পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ‘পদ্ম’ প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন প্রদ্যোতের দিদি কীর্তি সিংহ দেববর্মা। পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
অন্য দিকে, জনজাতি অধ্যুষিত পূর্ব ত্রিপুরা আসনে জোটের তরফে লড়ছে সিপিএম। প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক রাজেন্দ্র রিয়াং। অন্য দিকে, পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্রে জোটের তরফে লড়ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিস। ২০১৯-এ ত্রিপুরার দু’টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। পেয়েছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ ভোট। দু’টিতেই দ্বিতীয় স্থানে থাকা কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছিল ২৫ শতাংশের বেশি ভোট। তৃতীয় স্থানাধিকারী বামেদের ঝুলিতে ১৭ শতাংশ। মোদী সোমবার ভোটের প্রচারে ত্রিপুরা গিয়ে বামেদের বিরুদ্ধে যুবসমাজের হাতে বন্দুক তুলে দিয়ে সন্ত্রাসের পথে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy