(বাঁ দিকে) নবীন পট্টনায়েক। নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
ওড়িশাতেই তাঁর জন্ম। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তাঁর বাবা বিজু পট্টনায়েক। ভুবনেশ্বরে কেটেছে তাঁর ছোটবেলা। রাজনীতি করছেন প্রায় ২৮ বছর। তার মধ্যে শেষ ১৯ বছর ধরে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন। কিন্তু ওড়িয়া ভাষাটা এখনও রপ্ত হয়নি বিজু জনতা দল (বিজেডি) প্রধান নবীন পট্টনায়কের।
ওড়িশায় ভোটের (সে রাজ্যে এ বার লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন একই সঙ্গে হচ্ছে) প্রচারে গিয়ে এ বার সেই প্রসঙ্গ তুলে নবীনকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার ফুলবনিতে বিজেপির জনসভায় তিনি বলেন, ‘‘এ বার ওড়িশায় ক্ষমতায় এলে বিজেপি এমন কোনও ভূমিপুত্র বা ভূমিকন্যাকে মুখ্যমন্ত্রী করবে, যিনি ওড়িয়া ভাষা জানেন। যিনি ওড়িশার সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত।’’ এর পরেই নবীনের উদ্দেশে মোদীর খোঁচা— ‘‘ওড়িশার সবক’টি জেলার নাম বলুন তো।’’
সেই সঙ্গে নবীনকে খোঁচা দিয়ে মোদীর প্রশ্ন, যিনি নিজে ওড়িয়া ভাষা এবং সংস্কৃতি জানেন না, তিনি কী ভাবে ওড়িশাবাসীর সঙ্গে একাত্ম হবেন, তাঁদের সমস্যার সমাধান করবেন? দুন স্কুল, সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের প্রাক্তনী নবীনের মা পঞ্জাবি। ছোটবেলা থেকে ইংরেজি এবং হিন্দির পরিমণ্ডলে তাঁর বেড়ে ওঠা। তাই ওড়িশায় প্রায় তিন দশকের মুখ্যমন্ত্রী এখনও ভাঙা ভাঙা উচ্চারণে হাতে গোনা কিছু ওড়িয়া বাক্য বলতে পারেন। অভিযোগ, ওড়িয়া অক্ষরও বিশেষ চিনে উঠতে পারেননি তিনি। জনসভায় বলতে উঠে এখনও চোখ রাখতে হয় কাগজে। তাতে রোমান হরফে লেখা থাকে ওড়িয়া বক্তৃতা!
এ বারের লোকসভা-বিধানসভা ভোটের প্রচারে আগেই পাঁচ বারের মুখ্যমন্ত্রী নবীনের লুঙ্গি পরাকে কেন্দ্র করে নানা প্রাদেশিক এবং ধর্মীয় ইঙ্গিত ছুড়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান-সহ ওড়িশার বিজেপির নেতৃত্ব। এ বার প্রধানমন্ত্রী মোদী স্বয়ং ওড়িয়া ভাষা এবং সংস্কৃতির প্রশ্ন তুলে নিশানা করলেন বিজেডি প্রধানকে। প্রসঙ্গত, আগামী ১৩ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত চার দফায় ওড়িশায় ২১টি লোকসভা এবং ১৪৭টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। গণনা ৪ জুন। সে রাজ্যে লড়াই ত্রিপাক্ষিক। বিজেডি, বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy