—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ-র বিরুদ্ধে আন্দোলন করার মাধ্যমেই ত্রিপুরায় তিপ্রা মথার উত্থান শুরু হয়েছিল। ওই আন্দোলনে বিজেপি-শাসিত রাজ্যটির পুলিশের গুলিতে মথার এক জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। এ বার লোকসভা ভোটের নির্বাচনী আচরণবিধি জারি থাকাকালীনই ত্রিপুরায় সিএএ চালু করার সরকারি উদ্যোগ শুরু হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে শাসক দল বিজেপির শরিক হয়ে যাওয়া তিপ্রা মথা এ বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেনি।
সিএএ কার্যকর করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ জনগণনা দফতর থেকে ত্রিপুরার জনগণনা দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে রাজ্যে জেলাভিত্তিক কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, সেই কমিটিতে এক জন করে রাজ্য ক্যাডারের অফিসারকে রাখতে হবে। তিনি ওই কমিটিতে আমন্ত্রিত হিসেবে থাকবেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট জেলায় সিএএ সংক্রান্ত সব আবেদনের নিষ্পত্তি করা হবে।
ত্রিপুরার দুই লোকসভা আসনেই ভোট হয়ে গিয়েছে। একদা বিরোধী তিপ্রা মথা এখন রাজ্য সরকারে বিজেপির শরিক। তাদের দু’জন মন্ত্রীও আছেন। এই অবস্থায় দলের অবস্থান কী, প্রশ্ন করা হলে মথা চেয়ারম্যান বিজয় রাঙ্খল বলেন, সরকারি বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদ এলাকায় এই আইন কার্যকর করা যাবে না বলে দাবি করেন তিনি। রাঙ্খলের যুক্তি, শাসক দলের সঙ্গে থেকেও আন্দোলন করতে বাধা নেই। তবে আগে দলের নীতি ও আদর্শ ঠিক রাখতে হবে। তাঁরা চান, সংবিধান যেন কলঙ্কিত না হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৮ই জানুয়ারি ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদের মুখ্য কার্যালয় খুমলুং এলাকার মাধববাড়িতে নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিল তিপ্রা মথা। সেই সময়ে পুলিশের গুলিতে এক জনের মৃত্যু হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy