এক দশক আগে এমনই এক লোকসভা ভোটের প্রচারে বিজেপির তৎকালীন ‘প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে গুরুতর ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত সাংসদ-বিধায়কদের বিশেষ আদালতে টেনে নিয়ে যাবেন তিনি। দোষীদের জেলে পাঠাবেন এক বছরের মধ্যে। দিল্লির কুর্সিতে তাঁর ১০ বছর পূর্তির ঠিক আগেকার ছবি বলছে পরিস্থিতি বদলায়নি একদমই!
ভোট-নজরদারি সংস্থা ‘ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ’ এবং ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস’ (এডিআর)-এর রিপোর্ট বলছে, আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে যে ১০২টি লোকসভা আসনে ভোট হবে, তার প্রার্থীদের মধ্যে ১৬ শতাংশের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন ফৌজদারি মামলা রয়েছে। প্রথম দফার ভোটের ১,৬২৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১,৬১৮ জনের মনোনয়নের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা পরীক্ষা করেছিল ‘ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ’ এবং এডিআর। তার মধ্যে ২৫২ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার কথা জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
এডিআর প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি, ২৫২ জনের মধ্যে ১৬১ জনের (অর্থাৎ মোট প্রার্থীর ১০ শতাংশ) বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর অপরাধ সংক্রান্ত মামলা। এর মধ্যে সাত জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে খুন, ১৮ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ-সহ মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং ৩৫ জনের বিরুদ্ধে ঘৃণাভাষণের অভিযোগ রয়েছে। দলগত ভাবে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত সর্বাধিক প্রার্থী বিজেপির। ৭৭ জনের মধ্যে ২৮ জন। অর্থাৎ ৩৬ শতাংশ। পরের স্থানে কংগ্রেস। তাদের ৫৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৯ জন (৩৪ শতাংশ) ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত থাকার কথা হলফনামায় জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
তবে শতাংশের হিসাবে এক নম্বরে আরজেডি। বিহারে প্রথম দফার ভোটে লালুপ্রসাদের দলের যে চার জন প্রার্থী রয়েছেন তাদের প্রত্যেকে, অর্থাৎ ১০০ শতাংশ নানা ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত! শতাংশের হিসাবে পরের তিনটি স্থানে রয়েছে ডিএমকে (৫৯ শতাংশ), সমাজবাদী পার্টি (৪৩ শতাংশ), তৃণমূল (৪০ শতাংশ)।