প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র ।
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধিভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে জবাব তলব করল নির্বাচন কমিশন। সেই মর্মে কংগ্রেস এবং বিজেপির সভাপতিকে নোটিস পাঠিয়ে দুই দলের দুই তারকা প্রচারককে সাবধান করার বার্তাও দিয়েছে কমিশন। মোদী এবং রাহুলকে কী বলে সাবধান করা হল, তা চিঠি লিখে জানানোর নির্দেশও কমিশন দিয়েছে। একই সঙ্গে ওই চিঠিতে বিজেপি এবং কংগ্রেসকে দল এবং দলের তারকা প্রচারকদের দায়িত্বও মনে করিয়ে দিয়েছে কমিশন।
উল্লেখ্য, মোদী এবং রাহুল— উভয়ের বিরুদ্ধেই ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। নির্বাচন কমিশনে নালিশও জমা পড়েছিল। গত রবিবার ভোটপ্রচারের জন্য রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় একটি জনসমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন মোদী। সেখানে গিয়ে তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন, কংগ্রেস তার ইস্তাহারে দেশের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ‘‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ অতীতে বলেছিলেন, দেশের সম্পদে সর্বাগ্রে অধিকার মুসলিমদের। সেই কারণেই সমীক্ষা করার পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেস। যাতে দেশবাসীর কষ্টার্জিত অর্থ মুসলিম এবং অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া যায়।’’ এর পরে সোমবার উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে গিয়ে মোদী বলেছিলেন, ‘‘কংগ্রেসের নজর আপনার সম্পত্তির উপরে রয়েছে। ক্ষমতায় এলে এরা মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেবে।’’
সম্প্রতি হায়দরাবাদে কংগ্রেস নেতা রাহুল মন্তব্য করেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কোন শ্রেণির হাতে কত সম্পদ আছে, তা আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা করে দেখবে। সেই মন্তব্যের রেশ ধরেই বাঁশওয়াড়া এবং আলিগড়ে ওই মন্তব্য করেন মোদী। মোদীর সেই মন্তব্যের নিন্দা করে সরব হয় কংগ্রেস এবং বামেরা। কমিশনের কাছে অভিযোগও জমা পড়ে।
অন্য দিকে, রাহুলের বিরুদ্ধে ভাষা এবং অঞ্চলের ভিত্তিতে ঘৃণা ও বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপিও। পদ্মশিবিরের অভিযোগ, দেশের দারিদ্র বৃদ্ধি নিয়ে রাহুল যে দাবি করে চলেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। রাহুলের বিরুদ্ধে ভোটের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করার অভিযোগও তোলে পদ্মশিবির।
এ বার মোদী এবং রাহুল— উভয়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগই বিবেচনা করে দেখল কমিশন। সেই মর্মে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে চিঠি পাঠিয়ে জবাব তলব করা হয়েছে। আগামী ২৯ এপ্রিল সকাল ১১টার মধ্যে সেই জবাব দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy