সন্দেশখালিকাণ্ডে এ বার নারী নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করল সিবিআই। —ফাইল চিত্র ।
সন্দেশখালিতে এ বার নারী নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করল সিবিআই। সন্দেশখালিকাণ্ডে এর আগে শাহজাহান শেখের সহযোগী তথা গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরা ওরফে শিবুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের দু’টি অভিযোগ দায়ের করেছিল পুলিশ। বসিরহাট মহকুমা আদালতে অভিযোগকারিণীর গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে শিবুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল শিবু-সহ মোট তিন জনের বিরুদ্ধে। এ বার সন্দেশখালিকাণ্ডে নারী নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইও।
সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান এবং তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে জমি দখল এবং নারী নির্যাতনের বহু অভিযোগ জমা পড়েছিল পুলিশের কাছে। সেই শাহজাহান পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথমে সিবিআই হেফাজত এবং তার পরে ইডি হেফাজতে ছিলেন। আপাতত তিনি জেলে। গ্রেফতার হয়েছেন শিবু-সহ শাহজাহানের শাগরেদরাও। অন্য দিকে, সন্দেশখালি নিয়ে বেশ কিছু মামলাও চলছে হাই কোর্টে। সম্প্রতি সেই মামলার শুনানিতেই সিবিআইকে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। গত ১০ এপ্রিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ সন্দেশখালি নিয়ে একটি ইমেল আইডি চালু করার নির্দেশও দেয়। যেখানে মূলত সন্দেশখালির মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধ এবং জমি দখলের ঘটনার অভিযোগ জানানো যাবে এবং নির্যাতিতা মহিলাদের পরিচয় গোপন করা যাবে। আদালতের ওই নির্দেশের পরই ইমেল আইডি তৈরি করে সিবিআই। জেলাশাসকের মাধ্যমে এবং এলাকার সংবাদপত্রে নোটিস দিয়ে ওই ইমেল আইডি প্রচারের ব্যবস্থাও করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, তার পর থেকেই সন্দেশখালি থেকে আসা লিখিত অভিযোগ উপচে পড়ে সিবিআইয়ের মেলবক্সে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইমেলে আসা সেই সব অভিযোগে নারী নির্যাতনের অভিযোগও করা হয়েছে। এর বাইরেও নানা বিষয় নিয়ে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন সন্দেশখালির মানুষ। এর পর সেই সমস্ত অভিযোগের বিষয়বস্তু সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে গত শনিবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দু’টি দল সন্দেশখালিতে গিয়েছিল। সেখানে নারী নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখেই সিবিআই নারী নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকেরা। অভিযোগ ওঠে শাহজাহান ‘অনুগামী’-দের দিকে। তিন জন ইডি আধিকারিককে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার পর থেকে খোঁজ মিলছিল না শাহজাহানের। গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে আবার উত্তপ্ত হয় সন্দেশখালি। স্থানীয় মহিলাদের একাংশ শাহজাহান-সহ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে পথে নামেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। ফেব্রুয়ারির শেষে গ্রেফতার হন শাহজাহান। গ্রেফতারির আগেই তাঁকে ছ’বছরের জন্য সাসপেন্ড করে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy