দিলীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
বাংলায় যে কোনও ইস্যুতে প্রতিবাদ হয়। আন্দোলন হয়। কিন্তু তাতে প্রতিবাদী বা আন্দোলনকারীদের অভীষ্ট পূরণ হয় না। ভোটের প্রচারে বেরিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। আবার প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থীকে ভোটে হারিয়ে ‘প্যাক’ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। যা নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
বুধবার দলীয় কর্মীদের নিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ মালির বাগান মাঠে হাঁটছিলেন। সেই সময় কয়েক জন বিজেপি প্রার্থীকে কাছে পেয়ে এলাকার খেলার মাঠ নিয়ে সমস্যার কথা বলেন। স্থানীয়েরা দিলীপকে জানান, বেআইনি ভাবে মাঠের জায়গায় বহুতল নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে মাঠ ছোট হয়ে আসছে। এ বিষয়ে দিলীপকে পদক্ষেপ করতে আবেদন করতেন তাঁরা। প্রত্যুত্তরে দিলীপ বলেন, ‘‘মেনটেন করা তো আমাদের হাতে থাকবে না। তবে কব্জা যাতে না হয়ে যায়, সেটা দেখা আমার দায়িত্ব। তার পর সময়ে অনেক কিছুই হবে।’’ এই প্রেক্ষিতেই দিলীপ বলেন, ‘‘বাংলায় প্রতিবাদ এবং আন্দোলন করার একটা ফ্যাশন আছে। কাজ কিছু হয় না। আর আমি নিবেদন-আবেদন করি না কারও কাছে, আমি অ্যাকশন করি।’’
বর্ধমান শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যনগর মালির মাঠে গিয়ে স্থানীয়দের ওই খেলার মাঠ নিয়ে অভিযোগ শোনার পর দিলীপের মন্তব্য, ‘‘উত্তরপ্রদেশে, অসমে কেমন ‘ট্রিটমেন্ট’ হচ্ছে দেখেছেন তো (দুই রাজ্যই বিজেপিশাসিত)।’’ মেদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ আরও বলেন, ‘‘খড়্গপুরে আমি ছিলাম। সেখানে প্রচুর মাঠ রেলের। যে পারছে, বসে যাচ্ছে (জমি বেদখলের অভিযোগ)। নড়াচড়া করতে বললেই সে বলবে, ‘আমরা তো এত বছর ধরে আছি।’ এই ভাবে বড় মাঠের একটা অংশ বাংলাদেশিরা ঢেকে নিচ্ছে। অর্ধেকটা কব্জা হয়ে গিয়েছে।’’ দিলীপের অভিযোগ, ভোট রাজনীতির জন্য জায়গা বেদখলের মতো কাজও মেনে নেয় রাজ্যের শাসকদল।
পাশাপাশি কঙ্কালেশ্বরী কালীবাড়িতে গিয়ে তৃণমূল প্রার্থী তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদকে আবার নিশানা করেন দিলীপ। কীর্তি তাঁকে উদ্দেশ্য করে ‘পাগল’ বলে কটাক্ষ করেছেন। তা নিয়ে দিলীপের জবাব, ‘‘কে পাগল, সেটা ভোটের ফলের দিন দেখা যাবে। এমন হারাব যে জীবনে ভোটে দাঁড়াবেন না (কীর্তি)।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘উনি বিহারে চলে যান। ওঁর কথা ওঁর দলের লোকেরাই বোঝেন না। বাংলার মা-বোনেরা কী বুঝবেন। ওঁকে ভাল করে প্যাক করে দেব।’’ এ নিয়ে রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘এক জন জনপ্রতিনিধির ভাষা মার্জিত হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু যা কালচার, তাতে দিলীপ ঘোষের ভাষা তো ওই রকমই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy