তৃণমূলের লোকেদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। ভোটের মুখে এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও।
সম্প্রতি শান্তনুর একটি বক্তৃতার একটি অংশের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিয়োটির সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি। ভিডিয়োয় বনগাঁর বিদায়ী সাংসদকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘তৃণমূলের কোনও কথা শুনতে হবে না। আপনারা সেল্ফ ডিক্ল্যারেশন দেবেন, আর ফিজ়িক্যাল ভেরিফিকেশনের (নথি যাচাই) সময় আমাদের সঙ্গে দেখা করবেন। কী করতে হবে, বলে দেব।’’ এর পরেই শাসকদলকে নিশানা করেন শান্তনু। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের লোকেদের নিতে দেবেন না। একটাও তৃণমূলের লোককে আমরা নাগরিকত্ব দেব না। তার পর ওদের খ্যামটা নাচ কাকে বলে দেখাব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন বাঁচায় তোদের!’’
বিজেপি সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার গাইঘাটা বিধানসভার পাঁচপোতায় একটি নির্বাচনী জনসভায় গিয়ে ওই বক্তৃতা করেছেন শান্তনু। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে শান্তনুকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি নিজের বক্তব্যে অনড় ছিলেন। বলেন, ‘‘ওরা সিএএ-র বিরোধিতা করছে।’’
শান্তনুকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। তিনি বলেন, ‘‘শান্তনু ঠাকুর সাংসদ হওয়ার অযোগ্য। কেন্দ্রের মন্ত্রী হওয়ার অযোগ্য। এই ধরনের কথা উনি বলতে পারেন না। এটা অসাংবিধানিক কথা। কুরুচিকর মানসিকতার পরিচয়। কই আমরা তো এ রকম বলি না যে বিজেপির লোকেদের লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী দেব না! এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়। এটাই যে বিজেপির সংস্কৃতি, তা আরও এক বার প্রমাণ হয়ে গেল। আর নাগরিকত্ব দেওয়ার কী আছে? আমরা কি দেশের নাগরিক নই? ভোটের সময় এ রকম ফালতু ধোঁয়া তুলছে!’’