অধীর চৌধুরী। — ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ও শরদ পওয়ারের এনসিপি মহা বিকাশ আঘাড়ী বা এমভিএ-র নামে ভোট চাইবে। বিহারে আরজেডি, কংগ্রেস, বামদলগুলি ‘মহাগঠবন্ধন’-এর নামে ভোট চাইবে। তামিলনাড়ুতে ভোট চাওয়া হবে ডিএমকে-কংগ্রেসের জোটের নামে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চ বা বাম-কংগ্রেসের নামে ভোট চাওয়া হবে না।
পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ আসনে ইতিমধ্যে বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে আসন সমঝোতা শুরু হয়ে গিয়েছে। অধীর চৌধুরীর বহরমপুর, মহম্মদ সেলিমের মুর্শিদাবাদ বা উত্তর কলকাতায় প্রদীপ ভট্টাচার্যের জন্য যৌথ ভাবে বাম-কংগ্রেসের নেতারা প্রচারেও নেমেছেন। কিন্তু কংগ্রেসের সদর দফতর ও সিপিএমের পলিটব্যুরো সূত্রের খবর, সেখানে বাম-কংগ্রেসের জোটের নামে ভোট না চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অধীর, প্রদীপের ক্ষেত্রে বাম সমর্থিত জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী এবং সেলিমের ক্ষেত্রে কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী হিসেবেই ভোট চাওয়া হচ্ছে।
কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতার বক্তব্য, “অনেক রাজ্যেই কংগ্রেস নেতারা নিজেদের ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের ক্ষেত্রে সেই প্রশ্ন নেই। কারণ পশ্চিমবঙ্গে ইন্ডিয়া-র দুই দল, কংগ্রেস ও বামেদের মধ্যে আসন সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু ইন্ডিয়া জোটের অন্য দল তৃণমূল আলাদা ভোটে লড়ছে।”
বঙ্গে তৃণমূলই প্রথম কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার সম্ভাবনা খারিজ করে ৪২টি কেন্দ্রে একা লড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু পরে তৃণমূল জানায়, তারা ইন্ডিয়া জোটে রয়েছে। সম্প্রতি দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’র জনসভাতেও তৃণমূল যোগ দিয়েছে। ভোটের পরে প্রয়োজন মতো জোটে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার কথাও তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে যেখানে কংগ্রেস বামেদের সমর্থনে একই সঙ্গে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়ছে, কংগ্রেস প্রার্থীর পক্ষে সেখানে নিজেদের ‘ইন্ডিয়া’র প্রার্থী হিসেবে তুলে না ধরাই সঠিক কৌশল বলে মত কংগ্রেস হাই কম্যান্ডের।
কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, মহারাষ্ট্রে এমভিএ জোট পরিচিত নাম। বিহারেও আরজেডি, কংগ্রেস, বামেদের জোট ‘মহাগঠবন্ধন’ হিসেবে ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে। তাই সেখানে এই জোটের নামেই ভোট চাওয়া হবে। অন্য দিকে তামিলনাড়ুতে ডিএমকে-কংগ্রেস, ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস-জেএমএমের পুরনো জোট রয়েছে। সেখানেও এই জোটের নামেই ভোট চাওয়া হবে। কিন্তু ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো যেখানে কংগ্রেসই প্রধান বিজেপি-বিরোধী দল, সেখানে কংগ্রেস নেতারা নিজেদের ‘ইন্ডিয়া’-র প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে বাড়তি সুবিধা নিতে চান। বঙ্গে সেই সুযোগ নেই।
উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি ও দিল্লিতে আম আদমি পার্টির (আপ) সঙ্গে কংগ্রেসের আসন রফা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস বা সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীরা নিজেদের ‘ইন্ডিয়া’র প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরবেন কি না, সেই ফয়সালা হয়নি। কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছেন, বঙ্গের মতো দিল্লিতেও সেই সম্ভাবনা নেই। কারণ দিল্লিতে কংগ্রেস ও আপের আসন রফা হলেও পঞ্জাবে তারা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy