গণনাকেন্দ্রে প্রবেশের নিয়ম কী কী, জানিয়ে দিল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতর। মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের গণনা। সিইও জানিয়েছেন, রাজ্যে গণনার কাজে থাকছেন ২৫ হাজার কর্মী। কোথায় সবচেয়ে বেশি রাউন্ড গণনা হবে, কোথায় সবচেয়ে কম, তা-ও জানিয়েছে কমিশন।
সোমবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাব সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ ২৩ রাউন্ড গণনা হবে শীতলখুচিতে। সবচেয়ে কম গণনা হবে চোপড়ায়। সেখানে নয় রাউন্ড গণনা হবে। রাজ্যে গণনার কাজে ২৫ হাজারের বেশি কর্মী থাকবেন। গণনাকেন্দ্র (কাউন্টিং হল)-এর মধ্যে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা থাকবে। গণনাকেন্দ্রের মধ্যে কোনও অস্থায়ী এবং চুক্তিভিক্তিক কর্মী থাকতে পারবেন না। সোমবারই বিচারপতি অমৃতা সিংহ নির্দেশ দেন, গণনাকেন্দ্রের টেবিলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, পার্শ্বশিক্ষক, সিভিক ভলান্টিয়ার বা ওই জাতীয় কোনও অস্থায়ী কর্মীকে রাখা যাবে না। নির্বাচন কমিশনের যে নির্দেশিকা রয়েছে, তা মেনে গণনাকেন্দ্রে কর্মী নিয়োগ করতে হবে। হাওড়া ও বালি পুরসভার চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের গণনার কাজে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। মামলাটি করেন হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন:
সিইও-র তরফে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র পেন, পেনসিল এবং খাতা নিয়ে গণনাকেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে। মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গণনা কেন্দ্রের ভিতরে পৌঁছতে হবে। গণনাকেন্দ্র থেকে এক বার বেরিয়ে গেলে আর প্রবেশ করা যাবে না। এমনকি, প্রার্থীদের কাউন্টিং এজেন্টদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। গণনার মাঝপথে কাউন্টিং এজেন্ট পরিবর্তন করা যাবে না। গণনাকেন্দ্রে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ থাকবে।