প্রতিনিধিমূলক ছবি।
ভোটগ্রহণের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছিলেন গুজরাতের সুরাত লোকসভার বিজেপি প্রার্থী মুকেশ দালাল। সুপ্রিম কোর্ট যেখানে ভারতীয় নাগরিকদের নোটাতে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে, সেখানে এ ভাবে সুরাতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় ঘোষণা করা যায় কি না, প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। এ ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য হচ্ছে না? সোমবার সেই প্রশ্নের জবাবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার স্পষ্ট জানান, কেউ যদি সদিচ্ছায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন, তাতে কমিশনের কোনও কিছু করার নেই।
মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবকদের সইয়ে গরমিল থাকার অভিযোগে সুরাত কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী নীলেশের মনোনয়ন বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং অফিসার। অন্য দিকে, বিজেপি ছাড়া ওই কেন্দ্রের অন্য আট প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছিলেন বিজেপির মুকেশ। তাই ৭ মে গুজরাতের অন্যান্য লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হলেও সুরাতে হয়নি।
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, নোটার অধিকার থাকা সত্ত্বেও ভোটাররা কেন ভোট দিতে পারবেন না? উল্লেখ্য, ভোটদাতা কোনও প্রার্থীর প্রতিই আস্থা রাখতে না পারলেও যাতে নিজের মত জানাতে পারেন, সেই উদ্দেশে ইভিএমে নোটা (নান অফ দ্য অ্যাবভ বা উপরের কেউই নয়) বোতাম রাখার সূচনা হয়েছিল। ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ইভিএমে সব প্রার্থীর নাম এবং প্রতীক চিহ্নের শেষে নোটার বোতাম রাখা বাধ্যতামূলক করে কমিশন।
মঙ্গলবার ভোটগণনা রয়েছে গোটা দেশে। তার আগে সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তাঁকে সুরাত লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘সব জায়গাতেই ভোট হওয়া উচিত। কিন্তু প্রার্থীরা যদি স্বেচ্ছায় নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন, তা হলে আমাদের কী করার আছে?’’ তিনি এ-ও বলেন, ‘‘আপনি যদি এমন আইন চান যেখানে এক জন প্রার্থী থাকলে ভোট হবে না, আমি মনে করি এটা ঠিক নয়। তবে এটা নিশ্চিত করা আবশ্যক যে, কাউকে যেন জোরপূর্বক মনোয়ন বাতিল করতে না হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy