—ফাইল চিত্র।
ভোটের মাঝে ভূপতিনগরকাণ্ডে দুই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারির ঘটনায় আলোচনায় উঠে আসা এনআইএ-র সেই আধিকারিক ধনরাম সিংহের বদলির আবেদনে হস্তক্ষেপই করল না কলকাতা হাই কোর্ট। শাসকদল তৃণমূলের আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের বদলির বিষয়টি তাদের এক্তিয়ারভুক্ত নয়।
এনআইএ-র সুপার ধনরামের বদলি চেয়ে প্রথমে নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিল তৃণমূল। সেখানে সুরাহা না হওয়ায় তারা মামলা দায়ের করে হাই কোর্টে। আদালতে এনআইএ-ও পাল্টা দাবি করে যে, তদন্ত থেকে বাঁচতেই এই ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সেই মামলায় হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, তৃণমূল চাইলে কমিশনের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করতেই পারে। কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের বদলির সিদ্ধান্ত তারা নিতে পারে না। সেই কারণে শাসকদলের আবেদনে হস্তক্ষেপই করতে রাজি হল না উচ্চ আদালত।
তৃণমূল দাবি করেছিল, ধনরামের সঙ্গে বিজেপি বৈঠকের পরেই এনআইএ সক্রিয় হয়ে ভূপতিনগরকাণ্ডে দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধনরামের বাড়িতে গিয়ে বৈঠক করেছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সেখানেই এনআইএ-র এসপির হাতে তৃণমূল নেতাদের নামের একটি তালিকা ধরিয়ে দেন তিনি। সেই সঙ্গে একটি সাদা প্যাকেটও ধনরামের হাতে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তাদের বক্তব্য, ওই সাদা প্যাকেটে টাকা আছে কি না, পুলিশ তার তদন্ত করুক। তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ দাবি করেন, জিতেন্দ্র যে ধনরামের বাড়িতে গিয়েছিলেন, তার ভিডিয়োও রয়েছে তাঁর কাছে।
পাল্টা জিতেন্দ্র দাবি করেছিলেন, তৃণমূল যদি প্রমাণ করতে পারে যে এমন কোনও বৈঠক তিনি করেছেন, তা হলে রাজনীতির ময়দান থেকেই সরে যাবেন। এই পুরো ঘটনায় জিতেনের পাশেই ছিল বিজেপি। তাদের দাবি, চাপে পড়ে এনআইএ হানাকে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ বলে দাগিয়ে দিতে চেষ্টা করেছে তৃণমূল। তাই এনআইএ-র বিরুদ্ধে ভূপতিনগরে শ্লীলতাহানির অভিযোগও করেছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy