কাকা পশুপতি পারস (বাঁ দিকে) এবং ভাইপো চিরাগ পাসওয়ান (ডান দিকে) —ফাইল চিত্র।
লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি)-র প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের পুত্র চিরাগের সঙ্গে বিহারে আসন রফা চূড়ান্ত করে ফেলল বিজেপি। তাঁর দল এলজেপি (রামবিলাস)-তে ছাড়া হচ্ছে পাঁচটি আসন। বুধবার দিল্লিতে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে চিরাগের বৈঠকের পরে এই রফা চূড়ান্ত হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রের খবর।
নড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পরে চিরাগ বলেন, ‘‘বিহারে এনডিএ ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়বে। দ্রুত আমরা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করব।’’ বিজেপি সূত্রের খবর, চিরাগের কাকা তথা রাষ্ট্রীয় লোক জনশক্তি পার্টির নেতা পশুপতিকুমার পারসকে রাজ্যপাল হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিজেপি।
ওই সূত্র জানাচ্ছে জামুয়ের বিদায়ী সাংসদ চিরাগ এ বার পশুপতির আসন হাজিপুরে লড়বেন। পশুপতি গোষ্ঠীর আর এক সাংসদ তথা চিরাগের তুতো ভাই প্রিন্স রাজকে বিহার সরকারের মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, পশুপতিকে কার্যত ‘বানপ্রস্থে’ পাঠাতে চাইছেন শাহ-নড্ডারা।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ২০২১-এর মধ্যপর্বে এলজেপির ভাঙনের সময় বিজেপি দাঁড়িয়েছিল পশুপতির পাশে। সে সময় পশুপতি-সহ লোকসভায় দলের পাঁচ সাংসদ এক দিকে ছিলেন। অন্য দিকে একা চিরাগ। সেই পরিস্থিতিতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা পশুপতি গোষ্ঠীকেই ‘এলজেপি সংসদীয় দলের’ স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। এনডিএ জোটে পশুপতি গোষ্ঠীকে স্থান দিয়েছিল বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও চিরাগকে ব্রাত্য করে পশুপতিকে কেন্দ্র প্রতিমন্ত্রী করেছিলেন।
তিন বছর পরে কেন অবস্থান বদলাল বিজেপি। সূত্রের খবর, পশুপতি শিবিরে পাঁচ সাংসদ থাকলেও প্রয়াত রামবিলাসের দলিত ভোটব্যাঙ্ক যে তাঁর পুত্র চিরাগের দিকে রয়েছে, তার আঁচ পেয়েই মোদীর দলের এই অবস্থান বদল। এলজেপি-র দুই শিবিরকে মিলিয়ে দেওয়ার জন্য বিজেপির এই উদ্যোগ সফল হলে দলের পুরনো নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘর’ নির্বাচন কমিশন ফিরিয়ে দিতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy