মৃতের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলছেন হিরণ। — নিজস্ব চিত্র।
খড়্গপুরে বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন খড়্গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক তথা ঘাটাল লোকসভার বিজেপি প্রার্থী-অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। ‘দলদাস’ পুলিশকে আটকাতে সন্দেশখালির আদলে মহিলাদের লাঠি, ঝাঁটা, বঁটি, কাটারি নিয়ে বেরিয়ে আসার নিদান দেন তিনি। যে মন্তব্য নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সমালোচনা তৃণমূলের।
পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর ২ নম্বর ব্লকের পরপরআড়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাড়বাশী এলাকার ধানজমিতে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানা যায়, মৃত যুবকের নাম শান্তনু ঘোড়াই। তিনি বিজেপি করতেন। রাতে দেওয়াল লিখতে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তার পর থেকেই আর তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না। শেষ পর্যন্ত ধানক্ষেত থেকে দেহ উদ্ধার হয় শান্তনুর। তা নিয়ে শনিবার থেকেই উত্তপ্ত হচ্ছিল এলাকা। রবিবার সকালে আবার গ্রামে আসেন হিরণ। মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেন। এর পরেই হিরণ বলেন, ‘‘আজ (রবিবার) সকাল থেকে পুলিশ চমকাচ্ছে, ধমকাচ্ছে। এই অবস্থা পুলিশের! আমি হাতজোড় করে প্রার্থনা করব, বাংলার মা, বোনেরা, সবাই হাতে লাঠি, ঝাঁটা, বঁটি, কাটারি নিয়ে বেরিয়ে আসুন। না হলে এই দলদাস পুলিশকে আটকানো যাবে না। সন্দেশখালির মা, বোনেরা যেমন হাতে লাঠি, ঝাঁটা, বঁটি নিয়ে বেরিয়েছিলেন। এই দলদাস পুলিশকে সবাই মিলে আটকাও। না হলে বাংলার দলদাস পুলিশ বাংলাকে শেষ করে দেবে।’’
হিরণ পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে উস্কানি দিচ্ছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে তৃণমূল। জেলায় তৃণমূলের প্রাক্তন কো-অর্ডিনেটর তথা পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, ‘‘ওর কথা শোনার মতো লোক নেই। তাই বঁটি, ঝাঁটা, লাঠি নিয়ে বেরোনোর কথায় কেউ কর্ণপাত করেননি। উস্কানি দিয়েও লাভ হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy