দিলীপ ঘোষ। ফাইল ছবি।
ভোটপ্রচারে নামার পর থেকেই নানাবিধ কারণেই বার বার সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন দিলীপ ঘোষ। বিতর্কিত মন্তব্য করে দলীয় নেতৃত্বের ‘বকুনি’ও খেতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু ইদের দিন এক অন্য দিলীপকে দেখল বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র! ভোটপ্রচারে যাওয়ার সময় ইদ উপলক্ষে তৃণমূলের এক কর্মসূচিতে আচমকাই চলে গেলেন বিজেপি প্রার্থী। সেখানে বসে চুমুক দিলেন শরবতেও। শাসকদলের নেতা-কর্মীদের ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের মাঝে বক্তৃতাও করলেন মাইক হাতে।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রাতর্ভ্রমণ সেরে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে ভোটপ্রচারে যাচ্ছিলেন দিলীপ। পথে তালিতের দিঘিরপাড়ে ইদ উপলক্ষে তৃণমূলের ওই কর্মসূচিতে যান তিনি। বাঘাড়-২ অঞ্চল তৃণমূলের পক্ষ থেকে দলীয় কার্যালয়ে ইদ উপলক্ষে জলছত্রের আয়োজন করা হয়। বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা বর্ধমান-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি কাকলি তা ছিলেন। সেখানেই যান দিলীপ। মিনিট পাঁচেক থাকার পর সেখান থেকে বেরিয়ে ভাতারের ওড়গ্রামের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। তৃণমূলের কর্মসূচি থেকে বেরোনোর পর দিলীপ বলেন, ‘‘ইদ আনন্দের উৎসব। মুসলিম ভাইবোনেরা ছিলেন। তৃণমূলেরও লোক ছিল। আজ ইদ, পরে রামনবমীও হবে। আমি চাই, সমস্ত উৎসব যেন সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে পালিত হয়।’’
বিজেপি প্রার্থী পরে আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘ভাতার যাওয়ার সময় ওঁরাই (তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা) গাড়ি দাঁড় করিয়ে শরবত খাওয়াতে চেয়েছিলেন। তো আমি বললাম, গাড়িতে শরবত পড়ে যাবে, নেমে আসছি। তখন ওঁরাই আমাকে ওঁদের ক্যাম্পে নিয়ে গেলেন। ওখানে কিছু ক্ষণ বসলাম। শরবত খেলাম। ওঁরা জয় বাংলা স্লোগান দিলেন। আমিও কিছু ক্ষণ ভাষণ দিলাম ওঁদের মাইকে। বললাম, সব ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদ্যাপনে সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’’
এ প্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘যাই হোক, মন্দের ভাল। সারা দিন দিলীপ ঘোষ কুকথা বলছেন। তবে উনি তৃণমূলের মঞ্চে গিয়ে জল খেয়েছেন। দেরিতে হলেও বিবেক জাগ্রত হচ্ছে। এখানে হিন্দু-মুসলমান ভাই-ভাই। বাংলায় কোনও অশান্তি হয় না। তবে কেউ কেউ তা পাকানোর চেষ্টা করে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy