ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলোর প্রতি আমার বিপুল আগ্রহ। ভাল না মন্দ খেলি, তা তো স্কোর বলবে। তবে টস করতে যাওয়া, ক্রিকেটে ব্যাটিং নেব না বোলিং, ফুটবলে সেন্টার না কোন সাইড— সেটা নিজের যুক্তিতে সতীর্থদের বোঝাতেই বেশি স্বচ্ছন্দ ছিলাম চিরকাল। তখনও রাজনীতি ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়নি আমার কাছে। রথীনদা (নাম পরিবর্তিত) বলে আমার এক দাদা ছিল। খুব কাছের। স্পষ্টবক্তা। দারুণ উচ্চারণে কথা বলে। ইংরেজিতেও ভাল। ও তখন এসএফআই করত। আমি তখন দশম শ্রেণি। আমার রাজনীতিতে কৌতূহল সেই তখন থেকে।
রথীনদা টুয়েল্ভ পাশ করল। দুর্দান্ত নম্বর নিয়ে। আমাকে সাইকেলের পিছনে বসিয়ে হেডস্যরের বাড়ি নিয়ে গিয়েছিল। সঙ্গে মিষ্টির প্যাকেট। হেডস্যর তো ওকে দেখে আনন্দে আটখানা। রথীনদা স্কুলের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে। হেডস্যরের কথাটা এখনও মনে আছে, ‘‘রথীন, এ বার কলেজে গিয়ে পড়াশোনাটা লাটে উঠবে তো তোর! এমনিতে ভালই বলিস। তার উপর আবার এসএফআই করিস। কলেজে গিয়ে জিএস হয়ে মাথা ঘুরিয়ে ফেলিস না বাবা!”
সেই প্রথম ‘জিএস’ শব্দটা শুনি। মানে বুঝিনি। রথীনদাকে জিজ্ঞেস করায় ও বলেছিল, “আম খা। কোন গাছের আম সেটা জানতে চাস না।” কথাটা খারাপই লেগেছিল। ওকে বুঝতে দিইনি। ২০০৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলাম। ভর্তি হলাম শিয়ালদহের সুরেন্দ্রনাথ কলেজে। রথীনদার পিছু পিছুই। ও তখন দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কলেজে খুব একটা যায় না। তত দিনে ‘জিএস’ শব্দের মানে জেনে গিয়েছি। ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক অর্থাৎ জিএসের যে কী গুরুত্ব, সেটা প্রত্যক্ষ করলাম কলেজে ঢোকার পর পরেই। এলাকায় তখন এসএফআই করি। তাই কলেজে ঢুকে ছাত্র রাজনীতি করা ছাড়া আমার কাছে আর কিছুই গুরুত্ব পায়নি। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা, তাদের ক্লাস ঠিকমতো হচ্ছে কি না, কোনও গরিব ছাত্র এড-ফান্ড ঠিক মতো পাচ্ছে কি না— এ সবই দেখতাম। বাকি সময়টা ইউনিয়নের দাদাদের সঙ্গে টিটি বোর্ড আর লাইব্রেরিতে কেটে যেত। দ্বিতীয় বর্ষে উঠে আমি ‘জিএস’ নির্বাচিত হলাম। ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে আরও প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িয়ে পড়লাম। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গেও সেই সময়ে দু’বার দেখা করেছি।
কলেজ ক্যাম্পাসে তখন কে ভাল বক্তা, কার লেখার হাত দারুণ, কে প্রতি দিন কলেজে আসে, রোজ ক্লাস করে— সেই সব পড়ুয়ার সঙ্গে সখ্য রাখতে হত। ছাত্র রাজনীতিতে তাদের অংশীদার বানানোই লক্ষ্য। কলেজে কী স্লোগান তোলা হবে, কী বিষয়ে কথা বলতে হবে— তার সবটা বাকি ছাত্রদের জানানো হত।
২০০৯ সালে পার্টির (সিপিএম) লোকাল কমিটির এক সম্পাদকের সঙ্গে আমার প্রথম সংঘাত হল। লালঝান্ডার মিছিলে অনিচ্ছুক ছাত্রদের আমি নিয়ে যেতে পারব না, তাঁকে সেটা বলার পরেই সংঘাত। আমার যুক্তি ছিল, আমি গণসংগঠন করি। আমাদের পতাকার রং সাদা। যেখানে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র লেখা। সাদা পতাকার মিছিল হলেও তার পুঙ্খানুপুঙ্খ সমস্ত ছাত্রদের জানাতে ইউনিট সম্পাদক এবং আমি বদ্ধপরিকর। তুমি কে হে চাঁদু? হঠাৎ পার্টি অফিস থেকে হুকুম জারি করলে, শ’খানেক ছাত্র নিয়ে শক্তিপ্রদর্শন মিছিলে যেতে হবে! অ্যাজেন্ডা কী? ছাত্রদের স্বার্থে সেই অ্যাজেন্ডার কোনও যোগাযোগ আছে কি? এ প্রশ্ন করাতে ‘অতিবাম’ আখ্যা দিয়ে আমাদের ছাত্র রাজনীতি জীবনে যবনিকা টানেন লোকাল কমিটির ওই মহান সম্পাদক। সঙ্গে আরও ২৫ ছাত্রবন্ধু। আমাদের সকলের ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে দেওয়া হল।
আসলে অনেক আগে থেকেই পার্টির দুরবস্থা শুরু হয়েছিল। কিন্তু ওই ঘটনায় বিষয়টা আমি প্রথম বুঝতে পারলাম। নিজের মতামত চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছিল অন্যের উপর। যার ফলস্বরূপ বামপন্থীরা তো বটেই, সিপিএম এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। যত বেশি দিন যে দল ক্ষমতায় থাকবে, তার ঘুণও তত বেশি হবে।
তা বলে আমার রাজনীতিবোধ বা রাজনৈতিক ভাবনা কেউ বন্ধ করতে পারেনি। পারবেও না। সেই ভাবনা থেকেই এ বারের লোকসভা নির্বাচনকে দেখছি। সেই ভাবনা থেকেই আনন্দবাজার অনলাইনের এই লেখা লিখতে বসেছি।
এ বঙ্গে এখন অনেকেই আছেন, যাঁরা দুর্নীতিকে দুর্নীতি বলেই মনে করেন না। তাঁরা বেশির ভাগই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এঁদের ছেলেমেয়েরা কী শিখবে বলুন তো! নেতা থেকে মন্ত্রী, একটা বড় অংশ দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছেন। জনসাধারণ সেটাকেই ‘স্বাভাবিক’ বলে মেনে নিচ্ছেন। এর প্রভাব তো পড়বেই। ছোটবেলা থেকে জানতাম, শিক্ষকেরা সমাজ তৈরির কারিগর। এখন তাঁদের একটা বড় অংশের মানসিকতা— ভাল খাব, ভাল পরব, ভাল গাড়ি চড়ব। ফলে স্কুলে ক্লাস নেওয়ার চেয়ে ‘টিউটোরিয়াল’ থেকে টাকা রোজগারটাই আসল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ-ও কি এক ধরনের দুর্নীতি নয়! চিরকাল জেনেছি, চিকিৎসকেরা ঈশ্বরতুল্য। তাঁদের দেখালেই অর্ধেক রোগ সেরে যায়। সেই চিকিৎসকদের একটা বড় অংশের ভূমিকা আমাকে আজকাল আহতই করে। সকলে নন নিশ্চিত। তবে কেউ কেউ তো সত্যিই ‘দুর্নীতি’ করেন! আচ্ছা, ভোটে প্রার্থী হওয়ার জন্য অভিনেতার দরকার পড়বে কেন? আর অভিনেতারাই বা কেন টিকিটের জন্য ভেউ ভেউ করে কাঁদবেন? রাজনীতিকে সব কিছুর সঙ্গে গোলাতে গিয়ে এখন ভারতবর্ষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রাজনীতি ঢুকে গিয়েছে। সেটা দুর্নীতির রাজনীতি। কেউ এ সবে তৃণমূলী গন্ধ পেলে আমার কিছু বলার নেই।
অনেকে মনে করেন, বামপন্থী পতাকার নীচে যাঁরা সমবেত হন, তাঁরাই বামপন্থী। বলতে বাধ্য হচ্ছি, সেটা ঠিক নয়। বামপন্থা বললেই যে বামপন্থার চূড়ান্ত বিকাশ হচ্ছে তা নয়। যে প্রশ্নে বামপন্থীরা কেন্দ্রীয় সরকার থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন একটা সময়ে, তার মর্মার্থ ক’জন বুঝতে পেরেছিলেন ভারতে? তবে এ সব নিয়ে মানুষ কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। পাছে লোকে তাদের নকশাল বা মাওবাদী ভাবে!
কিন্তু সত্যিটা তো বলতেই হবে। একটা সরকার ৩৪ বছর টিকল কী ভাবে? কিছুটা সদাচার তো ছিলই। ভূমিসংস্কারের মতো কাজ ছিল। সেই কাজের ফলস্বরূপ ভোটব্যাঙ্ক ৩৪ বছর কাজে দিয়েছে। কিন্তু কাজগুলো তো অর্ধসমাপ্ত। গণতন্ত্র থাকলে ভোটের রাজনীতি করতেই হয়। তাই বলে মুসলমান অধ্যুষিত জায়গায় মুসলিম প্রার্থী করব? এটা বামপন্থীদের কাছ থেকে আশা করা যায় না। আমার সব সময়ে মনে হয়েছে, বামপন্থী রাজনীতির মধ্যেই বড় রকমের অবামপন্থী মনোভাব লুকিয়ে ছিল। খানিকটা এখনও আছে।
শেক্সপিয়রের ‘ওথেলো’ অবলম্বনে একটা ছোট্ট গল্প বলি। প্রভাতের (নাম পরিবর্তিত) কন্যা পূর্ণিমাকে (নাম পরিবর্তিত) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন সুকুমার (নাম পরিবর্তিত)। শুনে প্রভাত তো ভীষণ ক্রুদ্ধ! তিনি পুলিশের কাছে গিয়ে রিপোর্ট লেখালেন। পুলিশ সুকুমার-পূর্ণিমাকে খুঁজে বার করে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করল। তখন পূর্ণিমা গর্বের সঙ্গে প্রভাতকে বললেন, “আমি স্বেচ্ছায় সুকুমারকে ভালবেসে বিয়ে করেছি। বাবা, তুমি এখন যেতে পারো। আমাদের বিরক্ত কোরো না।” জবাবে প্রভাত নিজের মেয়েকে কিছু না বলে সুকুমারকে এক দৈব সত্য বলেন, ‘‘যে তার জন্মদাতাকে অপমান করতে পারে, তোমাকে প্রতারণা করা তার পক্ষে অসম্ভব নয়। কথাটা মনে রেখো।” পরবর্তী কালে এই গল্পে সেই দৈববাণী সত্য হয়। কিন্তু সেখানে সুকুমার-পূর্ণিমা দু’জনেই দুর্নীতির রাজনীতি এবং এক শক্তিশালী কূটনীতির শিকার হয়। যা কিনা এখনকার বিজেপির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে মিলে যায়। ‘ইয়াগো’ চরিত্রের মধ্য দিয়ে। তবে এই ঘটনা দেশের সর্বত্রই ঘটছে।
আমাদের যাবতীয় দুঃখের কারণ কিন্তু অশিক্ষা। আর সে কারণেই বিজেপির পক্ষে এখন নতুন করে কোথাও কোথাও হিন্দু রাজ্যের স্বপ্ন দেখানো সম্ভব হচ্ছে। কেউ স্বপ্ন দেখায় আর অনেক ‘গবেট’ সেই স্বপ্ন দেখে। প্রতিবেশী পরিবার ছুরি-তলোয়ার নিয়ে শত্রু হিসেবে প্রতিনিয়ত বাস করছে। এটা কি স্বাধীনতা না প্রহসন? আর এই সিস্টেমের বিরুদ্ধে কথা বললেই ‘দেশদ্রোহী’! তাই তো?
যদি বলি, দেশের বিরুদ্ধে যারা যায় তারাই দেশদ্রোহী, তা হলে তো প্রশ্ন আসে দেশের বিরুদ্ধাচরণ বিষয়টা ঠিক কী রকম! আমাদের দেশ দরিদ্র। এ দেশে অনেক অন্যায়, অবিচার চলছে। দেশের মানুষ খেতে পায় না। জাতপাতের সমস্যা বিরাট। আমি এ সব কথা বললে কি দেশের বিরুদ্ধাচারণ করা হবে? আমি কি ‘দেশদ্রোহী’ বলে চিহ্নিত হব?
দুর্নীতি যখন সমাজে ঢোকে, প্রথমে তাকে চেনা যায় না। আমাদের দেশের ইতিহাসের দিকে তাকালে মনে হয়, আগেকার আমলে, এমনকি, মুঘল আমলেও সম্ভবত এতটা দুর্নীতি ছিল না। ভয় থাকত, বাদশার কানে পৌঁছলে গর্দান যাবে! এখন তো সে সবের বালাই নেই। ভয় নেই নেতা-কর্মী কারও। ভয় শুধু সাধারণ মানুষের।
দিকে দিকে এখন দেখি ‘ভাতা’ লেখা পোস্টার। অমুক ভাতা, তমুক ভাতা। এই ভাতা নেওয়াটা যে অসম্মানের, পঙ্গুতার প্রমাণ, এটা সাধারণ মানুষ কবে বুঝবে? যিনি খুব দীনদরিদ্র, যাঁর কর্মক্ষম শরীর নেই, সেই মানুষটি ভাতার দিকে তাকিয়ে থাকেন। সুস্থ-সবল ডিগ্রি পাশ করা কন্যারা ভাতা নিচ্ছেন। বাড়ির তিন তলায় বসে চা খেতে খেতে প্রবীণেরা বার্ধক্যভাতা নিচ্ছেন। তার বদলে চাকরি চান, প্রতিবাদ করুন।
২০২০ সালের আগে ‘ইডি’ শব্দটা কি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এতটা ব্যবহৃত হত? কোভিডের মতো এই শব্দটিও নতুন ভাবে আমাদের মনে জাঁকিয়ে বসেছে। যুবনেতা থেকে পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ, প্রত্যেকের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে অবাধে এই ইডি। এ জন্য যেমন দোষী কিছু দুর্নীতিপরায়ণ দোর্দণ্ডপ্রতাপ স্বঘোষিত নেতা, ততটাই দোষী আমরা অর্থাৎ জনগণ। চুরি করছে। জনতার টাকা মারছে। তা-ও আমরা তাঁদের ‘বহিষ্কার’ করছি না। আরে আগে মন থেকে তো বহিষ্কার করুন! তার পর ব্যালটবক্স থেকে। আমাদেরই পাল্টাতে হবে। আমাদের মনকে পাল্টাতে হবে। মননকে পাল্টাতে হবে। তবেই না পরিবর্তন আসবে।
আরও একটা প্রশ্ন ইদানীং মাথায় ঘুরছে। শর্টস পরে সুইমিং পুলে নেমে কোন জনসংযোগটা হয়? মানুষের কাছে কোন আবেদনটা পৌঁছয়? প্রার্থী ভাল ইংরেজি বলেন, দেখতে সুন্দর, তাই ভোট দেব? এটা কোন ভোটের পরিবেশ? হঠাৎ ট্রেনে যাতায়াত শুরু করলেন কেন? জনসংযোগ বাড়াতে? কেন? আপনি কি রোজ ট্রেনে চড়েন? না কি যুবনেতার ২২ লাখি গাড়িতে যান? আচ্ছা, হঠাৎ মুদিখানার দোকানে দোকান করতে বসে পড়লেন কেন? এতে কোন জনসংযোগটা হচ্ছে? কী জানি, আমার মোটা বুদ্ধিতে হয়তো বুঝতে পারছি না।
আমার দেখা ২০০৬-০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই জনসংযোগ করতেন সেরা। তার আগে-পরে অবশ্যই কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। আর এখন মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ওঁকে দশের মধ্যে আট দেবই। দু’নম্বর ওঁর নেতা কেড়ে নিয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে সায়নী ঘোষ হয়তো কিছুটা শিক্ষা নিয়েছেন জনসংযোগে। কিন্তু মাঝেমাঝে যেন ধরাও পড়ে যাচ্ছেন।
আমার মনে হয়, যে রাজনৈতিক দলই হোক না কেন, আরও বেশি বেশি করে তাদের রাজনৈতিক ওয়ার্কশপ করতে হবে। রাজনীতি কেন, কিসের জন্য রাজনীতি— তার ওয়ার্কশপ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। স্কুল স্তর থেকে সেই ওয়ার্কশপ শুরু করতে হবে। রাজনীতি এখন একটা ভয়ানক ব্যাপার হয়ে উঠেছে আমাদের সমাজে। প্রত্যেক দলকে তাদের নিজস্ব কর্মশালা প্রস্তুত করতে হবে। শুধু ব্যালটবক্সের জন্য রাজনীতি করলে চলবে না। না হলে দেশ তো দেশ, আমরাও এক দিন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাব এই পৃথিবীর মানচিত্র থেকে!
(লেখক অভিনেতা। মতামত নিজস্ব)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy