বাবুল সুপ্রিয় এবং সুকান্ত মজুমদার (বাঁ দিক থেকে)। —ফাইল চিত্র।
সাংসদ হিসাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁর অর্ধেক কাজও করতেও পারেননি। বালুরঘাটে গিয়ে বিদায়ী সাংসদকে এ ভাবেই আক্রমণ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সুকান্তের সাংসদ হিসাবে ‘রিপোর্ট কার্ড’-এর তথ্যকে উদ্ধৃত করে বাবুলের দাবি, বালুরঘাটের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনও কাজ করতে পারেননি সেখানকার সাংসদ। আর এর প্রতিক্রিয়ায় বাবুলকে আবার বিজেপিতে ফিরে আসতে বললেন বালুরঘাটের বিদায়ী সাংসদ সুকান্ত।
শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের সমর্থনে প্রচারে আসেন বাবুল। প্রচার শেষে একটি হোটেলে সাংবাদিক বৈঠকে বাবুল কটাক্ষ করে জানান, আট বছর তিনি সাংসদ থাকার সময় যত কাজ করেছেন, সাংসদ হিসাবে তার অর্ধেক কাজও সুকান্ত করতে পারেননি। এমনকি, রেলের উন্নতিকল্পে সুকান্ত যে কাজ করেছেন বলে দাবি করছেন, তার থেকে অনেক বেশি কাজ তিনি আসানসোল স্টেশনের জন্য করেছিলেন বলে দাবি করেন বাবুল। তাঁর কথায়, ‘‘সাংসদ হিসাবে উনি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। মোটামুটি পাঁচ কোটি টাকা পান সাংসদ। আমি তার পুরোটাই কাজে লাগিয়েছি।’’ বাবুলের দাবি, তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব এবং সাংসদ পদ ছাড়ার আগে পর্যন্ত দায়িত্ব নিয়ে তাঁর আগের নির্বাচনী কেন্দ্র আসানসোলের উন্নয়নের কাজ করেছেন। আর সুকান্ত তাঁর ধারেকাছেও নেই। তাঁর কথায়, ‘‘আমি পারলাম, উনি পারলেন না, কারণ, সবটাই পাবলিসিটির (প্রচারের) খেলা। রাজনীতির বাইর ওঁর সঙ্গে আলাপ ছিল। শিক্ষিত ছেলে (সুকান্ত)। কিন্তু শুধু রাজনীতি নিয়ে পড়ে না থেকে, তার ঊর্ধ্বে গিয়ে এলাকার জন্য কিছু করেননি। তাই এখন ওঁকে প্রচার করতে হচ্ছে যে, ‘এক কিলোমিটার রাস্তা করেছি।’ আসলে (আমার) কোনও তুলনাই হয় না।’’ বাবুলের এ-ও দাবি, তিনি যখন আসানসোলের সাংসদ ছিলেন, তখন তাঁকে রাজ্য সরকার বাধা দেয়নি। তিনি এলাকার উন্নতিকল্পে কাজ করতে পেরেছেন। তাঁর সাংসদ এলাকায় কাজ করবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কিন্তু সাংসদ হিসাবে সেই ‘রিপোর্ট কার্ড’ দেখাতে পারবেন না সুকান্ত। কারণ, সুকান্ত রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সাংসদ হতে পারেননি।
এর কিছু ক্ষণ বাদে বাবুলের বক্তব্যের প্রত্যুত্তর দেন বালুরঘাটের বিদায়ী সাংসদ সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘তার মানে উনি (বাবুল) স্বীকার করে নিচ্ছেন যে বিজেপিতে থাকলে বেশি কাজ করা যায়। ওঁর অন্তরে সেই আক্ষেপ আছে, আমি জানি।’’ তার পরেই বাবুলকে আবার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সুকান্ত বলেন, ‘‘উনি ফিরে আসুন। আমরা ওঁকে আবার দলে ফিরিয়ে নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy