অপহৃত ৪০ জন ভারতীয় শ্রমিক নিরাপদেই আছেন। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরউদ্দিন এ কথা জানান। এ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ বিষয়ে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। কেন্দ্রীয় সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখছে বলে বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর।
এ দিন বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশ সচিব সুজাতা সিংহ-সহ উচ্চপদস্থ গোয়েন্দা কর্তারা অংশ নিয়েছিলেন। সৈয়দ আকবরউদ্দিন জানান, অপহৃত শ্রমিকদের ফেরাতে সব ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে এক জন অপহৃত শ্রমিক পালাতে পেরেছেন। তাঁর সঙ্গে বাগদাদে ভারতীয় দূতাবাসের যোগাযোগ আছে।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, অপহৃত ভারতীয় শ্রমিকদের কোথায় রাখা হয়েছে সে সম্পর্কে জানা গেলেও কারা তাঁদের অপহরণ করেছে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট ভাবে কিছু জানা যায়নি। এরই পাশাপাশি, তিকরিতে আটকে পড়া ৪৬ জন ভারতীয় নার্সের সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। তাঁরা হাসপাতালের একটি ডর্মিটরিতে রয়েছেন। হাসপাতালে শুধু জরুরি বিভাগের কাজ চলায় অধিকাংশ ভারতীয় নার্সের আপাতত কোনও কাজ নেই। ভারত সরকার খাদ্য ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছে। নার্সরা জানিয়েছেন, জঙ্গিরা তিকরিত-এর দখল নেওয়ার পরে হাসপাতালে নতুন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, দু’মাস ধরে তাঁরা বেতন পাচ্ছিলেন না। নতুন প্রশাসক তাঁদের বেতন দেওয়ার আশ্বাস দিলেও বকেয়া বেতন দিতে নারাজ। একই সঙ্গে, আটকে পড়া ১৬ জন ভারতীয় এ দিন ইরাক ছাড়তে পেরেছেন বলেও বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে। এর মধ্যে আট জন বাইজিতে আটকে ছিলেন। বাকিদের আনবার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এ দিন ইরাকে বাইজি তেল শোধনাগারে আইএসআইএস জঙ্গিদের সঙ্গে ইরাকি সেনার তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। জঙ্গিরা বাইজির আশপাশের কয়েকটি এলাকার দখন নিতে পারলেও এখনও তেল শোধনাগার তাদের দখলে আসেনি। ইরাকি প্রশাসনের দাবি, জঙ্গিদের অগ্রগতি ঠেকানো গিয়েছে। জঙ্গিদের দখলে থাকা অঞ্চলগুলি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা শুরু হবে। অসংখ্য শিয়া স্বেচ্ছাসেবী ইরাকি সেনায় যোগ দেওয়ার সেনার মনোবল বেড়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট জন কেরি ইরাক যেতে পারেন বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy