অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন ওড়িশার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মাওবাদী নেতা সব্যসাচী পণ্ডা। শুক্রবার সকালে ওড়িশার গঞ্জাম জেলার বেরহামপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ দিন বিধানসভায় ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বেরহামপুর শহরে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল রাজ্য পুলিশের বিশেষ দল। ওড়িশা পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব মারিক বলেন, “বিক্ষুব্ধ মাওবাদী নেতা সব্যসাচী পণ্ডাকে ধরতে পারাটা রাজ্য পুলিশের কাছে বিশাল সাফল্য।”
কে এই সব্যসাচী পণ্ডা?
অঙ্কে স্নাতক সব্যসাচী ওরফে সুনীল ওরফে সরত্ ১৯৯০ সালে সিপিআই (মাওবাদী) সংগঠনে যোগদান করেন। ক্রমে এই সংগঠনের সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠেন তিনি। ২০০৮ সালে নয়াগড় অস্ত্রাগারে হামলা-সহ ২৪টিরও বেশি অপরাধমূলক কাজে অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। এই হামলায় ১৪ জন পুলিশকর্মী প্রাণ হারান। ওই বছরেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা স্বামী লক্ষ্মণানন্দ সরস্বতী ও তাঁর চার শিষ্যকে হত্যার ঘটনায় নাম জড়ায় তাঁর।
২০১২ সালে ‘ওড়িশা মাওবাদী পার্টি’-র জন্ম দেন তিনি। ওই বছরেই দুই ইতালীয় পর্যটক অপহরণের মূল চক্রী হিসেবে খবরের শিরোনামে উঠে আসে তাঁর নাম। এর পরেই সিপিআই (মাওবাদী) সংগঠন থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, গঞ্জাম, গজপতি, কন্ধমাল ও নয়াগড়-সহ দক্ষিণ ওড়িশার বিভিন্ন জেলায় একাধিক মাওবাদী নাশকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সব্যসাচী পণ্ডা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy