সংগৃহীত চিত্র।
এ বছর থেকেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত লোরেটো উইমেন্স কলেজে স্নাতকোত্তরে মনোবিদ্যা নিয়ে পড়তে পারবে পড়ুয়ারা। এমএ ও এমএসসি স্তরে দ্বিতীয় বছরের পাঠ্যক্রমে রয়েছে ‘ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি’। পশ্চিমবঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের সংখ্যা প্রচুর থাকলেও সাইকোলজি বা ‘ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি’ নিয়ে পড়ানো হয়ে গুটিকয়েক কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে। লোরেটো কলেজের মনোবিদ্যা বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডিন্যাজ জিজিবয় বলেন, “মনোবিদ্যায় বিশেষজ্ঞ হতে গেলে প্রথম ধাপ হল স্নাতকোত্তর। ‘ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি’ নিয়ে কেরিয়ার গড়তে গেলে এমফিল এবং রিসার্চ বাধ্যতামূলক। উচ্চশিক্ষার পর বর্তমান সমাজে এই বিষয় নিয়ে চাকরির সুযোগও প্রচুর রয়েছে।” কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনস্তত্ত্বের দু’টি বিভাগ রয়েছে এখন। সাইকোলজি ও অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি।
পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে একটি বিভাগ। এ ছাড়াও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ বাগবাজার উইমেন্স কলেজ এবং বেথুন কলেজে স্নাতকোত্তরে মনোবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করানো হয়। তবে বেথুনে ‘ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি’ নয়, ইন্ডাস্ট্রিয়াল হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট নামে একটি কোর্স পড়ানো হয়ে থাকে। এই তালিকায় এ বছর থেকে যুক্ত হল লোরেটো উইমেন্স কলেজে।
স্নাতক স্তরে লোরেটো উইমেন্স কলেজে ২০০৭ সাল থেকেই পড়ানো হয় মনোবিদ্যা। ছাত্রীর সংখ্যা ৩০ মতো। স্নাতকোত্তরে মনোবিদ্যার আসন সংখ্যা অনেকটাই কম, মাত্র ১৫টি। যেহেতু স্নাতক স্তরে মনোবিদ্যা পড়ানো হয়, তার জন্য রয়েছেন পাঁচ জন মতো শিক্ষক রয়েছে। তবে স্নাতকোত্তরে আরও বেশ কিছু শিক্ষক নেওয়া হবে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।
কলেজের আইকিউএসসি কো-অর্ডিনেটর অমৃতা দাশগুপ্ত বলেন, “ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি-র প্রচুর চাহিদা রয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রে নয়, বরং যে কোনও প্রতিষ্ঠানেই এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে এখনকার সমাজে। এই বিষয়ে পড়াশোনার পরে বিদেশেও চাকরির সুযোগ রয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy