Advertisement
E-Paper

কবে হবে রাজ্যে প্রধানশিক্ষক নিয়োগ? আশার আলো কি দেখাবে নবান্নের মন্ত্রিসভার বৈঠক?

এই মুহূর্তে রাজ্যের স্কুলগুলিতে প্রধানশিক্ষক নিয়োগের ঘাটতি ৪০ শতাংশের বেশি বলে শিক্ষা দফতরের সূত্রের খবর। সরকার ও সরকার পোষিত স্কুল মিলিয়ে প্রধানশিক্ষক এবং শিক্ষিকার মোট শূন্য পদ রয়েছে ৪ হাজার ৫০০-এর মতো।

প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪ ১৪:৪৯
Share
Save

একের পর এক প্রশাসনিক ও মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরেও প্রধানশিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কোনও বার্তা নেই সরকারের। কবে হবে নিয়োগ? এই মুহূর্তে রাজ্যের স্কুলগুলিতে প্রধানশিক্ষক নিয়োগের ঘাটতি ৪০ শতাংশের বেশি বলে শিক্ষা দফতরের সূত্রের খবর।

বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, সরকার ও সরকার পোষিত স্কুল মিলিয়ে প্রধানশিক্ষক এবং শিক্ষিকা পদে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ জনকে নিয়োগ করা হবে। বহু আগেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে নিয়োগের বিধি তৈরি করে দফতরের কাছে পাঠান হয়েছিল। সেখানে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ চালুর কথাও জানিয়েছে কমিশন।

কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যাণ্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যাণ্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, “২০১৯-এর নিয়োগের পর থেকে প্রধানশিক্ষক পদে আর নতুন নিয়োগ না হওয়ায় স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে নানা রকমের সমস্যা হচ্ছে। উপরন্তু, অনেক স্কুলেই সহ প্রধান শিক্ষকের জন্য যথাযথ ছাত্র সংখ্যা থাকলেও সহ প্রধান শিক্ষকের অনুমোদিত পদ নেই, ফলে প্রধান ও সহ প্রধানের অভাবে প্রশাসনিক সঙ্কটে স্কুলগুলি।”

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে প্রধানশিক্ষক ও শিক্ষিকা নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি হয়েছিল। নিয়োগ হয়েছিল ২০১৯ সালের শেষে। সেই নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি এবং স্বজনপোষনের অভিযোগ সামনে আসে। তারপর ছ’বছর অতিক্রান্ত। এ প্রসঙ্গে অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাষ্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, “প্রধান শিক্ষক নিয়োগ শুধু ৪০ শতাংশ নয়, গ্রামীণ বিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ প্রধানশিক্ষক নেই। স্কুলগুলিতেও প্রশাসনিক কাজ চালানো যথেষ্ট কঠিন হয়ে পড়েছে প্রধানশিক্ষক না থাকায়। সব তৈরি থাকলে এত বিলম্ব কেন?”

বিকাশ ভবনের এক আধিকারিক জানান, তাঁদের তরফ থেকে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে অর্থ দফতরের কাছে পাঠান হয়েছে, তারপরে অনুমতি না আসায় বুধবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা পেশ করা সম্ভব হয়নি ।

এ প্রসঙ্গে, বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “২০২২ সালের মাঝামাঝি এসএসসি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল যে, খুব শীঘ্রই প্রধানশিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেবে। দু’বছর অতিবাহিত কিন্তু এখনও পর্যন্ত নিয়োগ বিধি তৈরি করতে পারল না। আসলে এরা কোনও নিয়োগই করতে চাইছে না। সরকার মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে। এই ভাবে শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদন্ড ভেঙে দিচ্ছে।”

প্রধানশিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব আজ বৈঠকে পেশ করা না হলেও, দু’টি স্কুল নির্মাণ প্রস্তাব পেশ করা হবে। তার মধ্যে একটি বীরভূমের মহম্মদবাজার এলাকায় সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল স্থাপনের প্রস্তাব গৃহিত হবে। এক বছরের মধ্যে তৈরি করা হবে স্কুল ভবন। ৪৩টি শূন্যপদ তৈরি করা হবে। এই প্রকল্পে সরকারের ব্যয় হবে প্রতি বছর প্রায় দু’কোটি টাকা। শুধু স্কুল ভবন নয়, শিক্ষক এবং পড়ুয়াদের জন্য থাকার সুযোগও থাকছে।

নিউ ইন্টিগ্রেটেড গভর্মেন্ট স্কুল মডেল (এনআইজিএস) এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে এর নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে। একই ভাবে নির্মাণ করা হবে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও। তার প্রস্তাব পেশ করা হবে মন্ত্রিসভার বৈঠকে।

Head teacher Teacher Recruitment WB Govt Jobs

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।