সংগৃহীত চিত্র।
হাতে আর মাত্র এক মাস। তার পরেই একাদশ শ্রেণির সিমেস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা শুরু ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে। তবু এখনও স্কুলগুলির কাছে পৌঁছল না বৃত্তিমূলক শিক্ষার নয়া পাঠ্যক্রম এবং প্রশ্নপত্রের ধরন। এমনকি মডেল বইও নেই নয়া পদ্ধতিতে। সর্বোপরি এ বছর বেশ কিছু নতুন স্কুলকেও বৃত্তিমূলক বিষয় পড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। অথচ তার জন্য ল্যাবরেটরিই নেই বলে বহু স্কুলের তরফে জানানো হচ্ছে।
উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বৃত্তিমূলক শিক্ষার বিষয় পড়ানো হলেও এই পুরো বিষয়টি তত্ত্বাবধান করে ভোকেশনাল কাউন্সিল। শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে পরিস্থিতির কথা বহু বার জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা এই বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত। আমরা ভোকেশনাল কাউন্সিলকেও বিষয়টি জানিয়েছি। দ্রুত ওরা পদক্ষেপ না করলে পরীক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনায় সমস্যা তৈরি হবে।”
আগে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ানো হত ১৩টি বৃত্তিমূলক বিষয়। এ বছর থেকে সিমেস্টার পদ্ধতিতে তা বৃদ্ধি করে করা হয়েছে ১৬টি বিষয়। এ ছাড়াও ১৬১১টি স্কুলকে নতুন ভাবে এই বিষয়গুলি পড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে। কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন,
“সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে একাদশ শ্রেণির প্রথম সিমেস্টার পরীক্ষা শুরু হবে। অথচ পড়ুয়া ও শিক্ষকদের কোনও রকম সুযোগ-সুবিধা নেই। কী ভাবে প্রশ্ন তৈরি এবং পরীক্ষা গ্রহণ হবে তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে স্কুলগুলি। অবিলম্বে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের।”
ছাত্রদের ১৬টি বৃত্তিমূলক বিষয়ের মধ্যে একটিকে অপশনাল ইলেকটিভ হিসেবে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক মহলের একাংশ জানান, পাঠ্যক্রম নেই, মডেল প্রশ্নপত্র নেই, এমনকি ল্যাবরেটরিও নেই, অথচ ৭০ নম্বর বরাদ্দ এই ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য। এ রকম বিনা প্রস্তুতিতে তড়িঘড়ি পাঠ্যক্রমে বিষয়গুলো শুরু করার অর্থ কী?"
পার্ক ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজা বলেন, “এক মাস বাদে পরীক্ষা। এখনও পর্যন্ত পরিকাঠামো বা বই, কোনওটাই ঠিক মতো এসে পৌঁছয়নি বৃত্তিমূলক শিক্ষার ক্ষেত্রে। শিক্ষা সংসদের উচিত এই বিষয়ের পরীক্ষার সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়া।”
প্রসঙ্গত, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নিয়ম অনুযায়ী সিমেস্টার পদ্ধতিতে দু’টি প্রধান ভাষা বাধ্যতামূলক। তিনটি কম্পালসারি ইলেকটিভ বিষয় নিতে হবে। আর অপশনাল ইলেকটিভ-এর মধ্যে একটি বিষয় তারা গ্রহণ করতে পারবে। যে সমস্ত পড়ুয়া বৃত্তিমূলক বিষয় নিয়েছে, তারা তাদের প্রস্তুতি এখনও পর্যন্ত শুরু করতে পারেনি বলে শিক্ষক মহলের একাংশের বক্তব্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy