Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
WB HS Registration 2024

একাদশে ২৪ হাজারের বেশি পড়ুয়ার নাম নথিভুক্তকরণ অসম্পূর্ণ, প্রশ্নের মুখে স্কুলের ভূমিকা

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে দ্বিতীয় বারের জন্য একাদশের পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন ফর্ম এবং রিক্যুইজ়িট ফি জমা দেওয়ার সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

WB Class 11 Registration.

প্রতীকী চিত্র।

স্বর্ণালী তালুকদার
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৪ ১৪:৪১
Share: Save:

একাদশের রেজিস্ট্রেশনের চূড়ান্ত দিন ঘোষণা করল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়েছে, এমন ২৪ হাজারেরও বেশি পড়ুয়ার নাম নথিভুক্তকরণ অসম্পূর্ণ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্কুলগুলির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষা সংসদ।

মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৫২ জন। এদের মধ্যে ৭ লক্ষ ৪০ হাজার ৫৬০ জনের নাম নথিভুক্তকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। সমস্ত ফি জমা পড়েছে ৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৯৯ জন পড়ুয়ার। বাকি ২৪ হাজার ৬৯২ জন পড়ুয়ার নাম এখনও নথিভুক্ত করেনি স্কুলগুলি। এদের মধ্যে সবাই একাদশে ভর্তি হয়েছে কিনা, সে বিষয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। তাই ১০ জুলাই পর্যন্ত প্রথম বার সময়সীমা বৃদ্ধি করার পরেও দ্বিতীয় বার এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি পেশ করেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। অনলাইনে স্কুলগুলির তরফে নথি জমা দেওয়ার শেষ দিন হিসাবে ১৬ জুলাই তারিখটি ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুন মাসে একাদশের পড়ুয়াদের নাম নথিভুক্তকরণের নিয়মাবলি বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করেছিল শিক্ষা সংসদ। পাশাপাশি, কত টাকা ফি হিসাবে দিতে হবে, তার সবিস্তার তথ্যও পেশ করা হয়েছিল। সেই তথ্য অনুযায়ী, রেজিস্ট্রেশন ফি হিসাবে ৭৫ টাকা, ফর্ম প্রসেসিং ফি হিসাবে ৪৫ টাকা, কনভিনিয়েন্স ফি হিসাবে ৩০ টাকা এবং রেজাল্ট প্রসেসিং ফি হিসাবে ৪০ টাকা জমা দিতে হবে স্কুলগুলিকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফি-সহ নাম নথিভুক্তকরণ সম্পূর্ণ না করতে পারলে প্রতি শিক্ষার্থী পিছু আরও ১৫০ টাকা লেট ফাইন হিসাবে দিতে হবে।

এই বিষয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “অনেক স্কুল এখনও নিয়মমাফিক পড়ুয়াদের নাম নথিভুক্ত করেনি। সেই কারণেই দ্বিতীয় বার বিজ্ঞপ্তি আকারে তাঁদের সচেতন করতে এবং দ্রুত নথিভুক্তকরণ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই না কোনও স্কুল লেট ফাইন দিক।”

জেলা স্তরের বেশ কিছু স্কুলে একাদশের ল্যাব-নির্ভর বিষয়গুলির ফি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের কাজ এখনও চলছে। আসানসোলের হীরাপুর মানিকচাঁদ ঠাকুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিবেদিতা আচার্য প্রধান শিক্ষিকা নিবেদিতা আচার্য বলেন, “১৬ জুলাইয়ের আগেই ৮৯ জন পড়ুয়ার নাম নথিভুক্তকরণ সম্পর্কিত সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।”

তবে কলকাতার স্কুলগুলির প্রায় সবক'টিই নাম নথিভুক্তকরণের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে, কিংবা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা করার কথা জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতীম বৈদ্য জানান, শিক্ষা সংসদের নির্দেশিকা পাওয়ার পরেই স্কুলের তরফে ২৫৪ জন পড়ুয়ার নাম নথিভুক্তকরণের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE