প্রতীকী চিত্র।
বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপন নিয়ে পড়াশোনার চাহিদা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে পড়ুয়াদের মধ্যে। উচ্চশিক্ষায় এই বিষয়ে সবিস্তার পাঠ্যক্রম পড়ানো হলেও স্কুল স্তরে এই বিষয়ে সে ভাবে পূর্ণাঙ্গ কোনও পাঠ্যক্রম এত দিন পর্যন্ত ছিল না। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শুধুমাত্র থিয়োরি হিসাবে এই বিষয়টি পড়ানো হত।
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, পড়ুয়াদের ভিত শক্ত করতে সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপনকে এ বার প্র্যাক্টিক্যাল ভিত্তিক বিষয় হিসাবে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। যেখানে থিয়োরির পাশাপাশি সামার ইন্টার্নশিপেরও সুযোগ থাকছে পড়ুয়াদের এবং এই পুরো পাঠ্যক্রমটি তৈরি করা হয়েছে উচ্চ শিক্ষার পাঠ্যক্রমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে।
এ প্রসঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “এতদিন পর্যন্ত সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপন উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে প্রজেক্ট ভিত্তিক পড়ানো হত। এ বার থেকে তা প্র্যাক্টিক্যাল ভিত্তিক পড়ানো হবে। এর মূল উদ্দেশ্য উচ্চশিক্ষায় যারা এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করবে, তাদের ভিত শক্ত করা। এতে এই বিষয়ে ভবিষ্যতে কর্মক্ষেত্রে যে পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়, সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকবে পড়ুয়ারা।”
প্রজেক্ট বা থিয়োরি বিষয়ে পড়ার সময়ে পড়ুয়াদের ১০০ নম্বরের মধ্যে ৮০ নম্বর থিয়োরি এবং ২০ নম্বর প্রজেক্ট ওয়ার্ক করতে হত। প্র্যাক্টিক্যাল ভিত্তিক বিষয় হওয়ার পরে সেই নম্বরের ভাগ হয়ে দাঁড়াল ৭০ এবং ৩০। প্রথম সিমেস্টারে থিয়োরি বিষয়ের ক্ষেত্রে কমিউনিকশন এবং তার প্রকারভেদ, সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপনে সাধারণ জ্ঞান, কত ধরনের গণমাধ্যম রয়েছে, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া, রেডিয়ো, টেলিভিশন, ফিল্ম এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় কী ভাবে সাংবাদিকতার কাজ হয়, তার ধারণা দেওয়া হবে হাতেকলমে। এ ছাড়া গণজ্ঞাপনের ইতিহাস সম্পর্কেও পড়ানো হবে। একই ভাবে দ্বিতীয় সিমেস্টারে রেডিয়ো, টেলিভিশন এই সমস্ত বিষয়ে পড়ুয়াদের হাতেকলমে পাঠ দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতীম বৈদ্য বলেন, “সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপন একটি বাস্তব অভিজ্ঞতা ভিত্তিক বিষয়। পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি তার প্র্যাক্টিক্যাল দিকটিও জানা প্রয়োজন। জনসংযোগের দক্ষতা থেকে সাক্ষাৎকার নেওয়া, তথ্য অনুসন্ধানের মতো বিষয়গুলি জানা অত্যন্ত জরুরি। তাই শিক্ষা সংসদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।”
জাতীয় শিক্ষা নীতির বিকল্প শিক্ষানীতি তৈরি করেছে রাজ্য। সেই নীতিতে পড়াশোনার পাশাপাশি কর্মমুখী শিক্ষার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে বিভিন্ন ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থার কথা। সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপনের ক্ষেত্রেও সিমেস্টার ভিত্তিক সামার ইন্টার্নশিপের সুযোগ থাকছে পড়ুয়াদের জন্য। এমনটাই জানাচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy