সংগৃহীত চিত্র।
ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন সিলেবাস চালু হবে কবে থেকে? তা নিয়ে এখনও রয়ে গেল ধোঁয়াশা। বিষয়ভিত্তিক কী পরিবর্তন হবে তা নিয়ে সিলেবাস কমিটি একাধিক বৈঠক করেছে ইতিমধ্যে। এবং সেই খসরা পাঠানো হয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতরের কাছে। তবে সেই খসড়ায় নেই বাংলা এবং ইংরেজির উল্লেখ। তাই আসন্ন শিক্ষাবর্ষে উচ্চ প্রাথমিকে সিলেবাস পরিবর্তনের সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করছেন শিক্ষক মহলের একাংশ।
সিলেবাস কমিটির সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক বলেন, “ইতিমধ্যেই সাব কমিটি ও সিলেবাস কমিটির সমস্ত কর্তাব্যক্তিদের একাধিক বার বৈঠক হয়েছে। সেখানে বাংলা-ইংরেজি বাদে অন্যান্য বিষয়ে কী পরিবর্তন হতে পারে, তার খসড়া স্কুলশিক্ষা দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমতি এলে পরবর্তী পর্যায়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।"
তবে বিষয়ভিত্তিক সিলেবাসের পরিবর্তন না হলেও ২০২৫-এর শিক্ষাবর্ষ থেকে দু'টি নতুন বিষয়, আর্ট অ্যান্ড ওয়ার্ক এডুকেশন এবং ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির সিলেবাসে যুক্ত হতে চলেছে। শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানান, এই বিষয়ে সমস্ত প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে সিলেবাস কমিটির তরফ থেকে সম্পন্ন করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর অনুমোদন এলেই এই দু’টি বিষয় সিলেবাসে যুক্ত করা হবে।
সূত্রের খবর, আর্ট অ্যান্ড ওয়ার্ক এডুকেশন এবং ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরে পড়ানো হলেও নিদিষ্ট কোনও বই বা পাঠ্যক্রম না থাকায় স্কুলগুলির সঙ্গে শিক্ষা দফতরের সামঞ্জস্যের অভাব হচ্ছিল। তার ফলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দফতরের তরফ থেকে।
৯০-এর দশক পর্যন্ত মাধ্যমিকে কর্মশিক্ষা এবং শারীরশিক্ষা বিষয় দু'টি বাধ্যতামূলক ছিল। ৯০ দশকের শেষলগ্নে মাধ্যমিক স্তরে এই দু’টি বিষয়কে ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে পড়ানো শুরু হয় এবং কোনও পরীক্ষার্থী এই বিষয় নিয়ে পরীক্ষা দিলে তাতে প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৩৪ নম্বর বাদ দিয়ে বাকিটা মোট নম্বরের সঙ্গে যোগ করা হত।
২০১১ সালের পরে পাঠ্যক্রমের আধুনিকীকরণ করা হয় এবং তার পরেই কর্মশিক্ষা এবং শারীরশিক্ষা এই দু’টি বিষয় মাধ্যমিক স্তরে পড়ানো বন্ধ করে দেয় স্কুলশিক্ষা দফতর। তবে প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরে এটি বাধ্যতামূলক বিষয় হিসেবে এখনও পর্যন্ত পড়ানো হয়ে থাকে। পাঠ্যক্রমের আধুনিকীকরণের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক নামকরণের পরিবর্তন আনা হয়। শারীরশিক্ষার সঙ্গে যুক্ত করা হয় ‘স্বাস্থ্য’। এবং তার নতুন নাম হয় স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা। একই ভাবে ‘আর্ট এডুকেশন’-এর উপরে জোর দেওয়া হয়। যার নামকরণ করা হয় ‘আর্ট অ্যান্ড ওয়ার্ক এডুকেশন’। তবে নতুন নাম হলেও এই সংক্রান্ত কোনও বই বা পাঠ্যক্রম তৈরি করা হয়নি স্কুলশিক্ষা দফতরের তরফে। বাজারচলতি বিভিন্ন বই থেকে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়াদের ক্লাস করানো হত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy